প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিনকয়েক আগে ছিনতাইবাজদের হামলার শিকার হন এক ব্যক্তি। খাস কলকাতায় (Kolkata) সাতসকালে এমন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্যরা। তবে তারপর থেকে কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে এবার ময়দানে কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা।

রবিবার সকাল। ছুটির সকালে তখন ঘড়ির কাঁটায় ভোর পাঁচটা হবে। আচমকাই সাইকেল চালিয়ে সাদা পোশাক পরে ময়দানে আসেন পুলিশ কমিশনার (Commissioner of Kolkata Police) সৌমেন মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। প্রাতঃভ্রমণকারীরা আদৌ ছিনতাইবাজদের নিয়ে কতটা আতঙ্কিত তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

প্রাতঃভ্রমণকারীদের নিরাপত্তাই বা কতটা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্তারা।

অন্যান্য দিনের মতো গত বুধবার কাকভোরে হরগোবিন্দ ব্যাস নামে এক যুবক প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেই সময় স্কুটিতে চড়ে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ময়দান (Maidan) থানা এলাকায় পৌঁছয়। ওই প্রাতঃভ্রমণকারীর কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তবে তাতে বাধা দেন প্রাতঃভ্রমণকারী। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রের কোপ দিতে থাকে তারা। তাতেই ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন হরগোবিন্দ। সুযোগ বুঝে তাঁর কাছে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র লুটপাট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বেশ খানিকক্ষণ পর রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই প্রাতঃভ্রমণকারীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকঘণ্টার মধ্যে মহম্মদ ইমরান ওরফে তোতলা এবং সমীর হোসেন ওরফে সাব্বু নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তোতলা এন্টালি এবং সাব্বু বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা। নিজেদের বাড়ির আশপাশ থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত প্রাতঃভ্রমণকারীরা। বাড়ানো হয়েছে ময়দানের নিরাপত্তা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours