টিকাকরণে দেশজুড়ে এক নীতি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। প্রত্যেক ভারতবাসী বিনামূল্যে টিকা পাবেন। কিন্তু কত দিনে? তার কোনো সদুত্তর নেই। টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে যেমন হাহাকার তেমনই দেশজুড়েই দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও শুরু হয়েছে একই অবস্থা। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে টিকা নিতে গেলে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে ১০০ জনের পর। অগত্যা, টিকা পেতে জাগতে হচ্ছে রাত, বাড়ি থেকে যেতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল-বালিশ নিয়ে। এমন চিত্র উঠে এল উত্তরবঙ্গ থেকে।


শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার ৯ নম্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে রাত থেকেই টিকার জন্য যে লাইন দেখা গেল, অস্বাভাবিক। ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিলেন মানুষ। বাদ ছিলেন না বয়স্করাও। অধিকাংশরা ছিলেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য। তাদের থেকেই জানা গেল, ঝড়-বৃষ্টির রাতেও কাঁথা-কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকছেন প্রবীণরা। কখন সূর্যোদয় হবে আর টিকার জন্য টোকেন মিলবে সেই আশায় রাত জাগা। শহরের পুরপ্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সকালে ১০-১১ টার মধ্যে সেখান থেকে টোকেন দেওয়া হয়। সেই টোকেনের ভিত্তিতেই টিকাকরণ হয়। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ দিন টিকাকরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। টিকা নেই বলে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ফলে যখন ফের টিকার জন্য টোকেন দেওয়া শুরু হচ্ছে, রাত থেকেই মানুষ লাইন দিয়ে দিচ্ছেন আগে পাওয়ার আশায়। তা নিয়েই যত গণ্ডগোল, ঝামেলা, বচসা।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে চাদর চড়িয়ে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তি জানালেন, 'এর আগেও কয়েকদিন ঘুরে গিয়েছি। টিকা পাইনি। যত ভোরেই আসি না কেন ১০০ জন প্রায় দাঁড়িয়েই থাকেন লাইনে। সে কারণে এবার আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাতে স্বাস্থ্যেকন্দ্রে চলে এসেছি। সঙ্গে খাবার, চাদর নিয়ে এসেছি।' প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক দেশবাসী বিনামূল্যে টিকা পাবেন। কিন্তু কতদিনে মিলবে টিকা? যেহেতু সাংবাদিক সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী করেন না, তাই এই প্রশ্ন তার কাছে গিয়ে পৌঁছয়নি। শেষমেষ টিকার লাইনেও দাঁড়িয়ে পড়ল দেশবাসী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours