নাকে গোঁজা অক্সিজেনের নল। গাল-ভর্তি খোঁচা দাড়ি। কথা বলতে বলতে কাশি আসছে। থামছেন। আবার শুরু করছেন। অশক্ত শরীরেও মুখে হাসি এনে আস্বস্ত করছেন প্রিয় অনুরাগীদের। এভাবেই জীবনের বোধহয় সবথেকে অন্যরকম লাইভটি করলেন গীতিকার ও শিল্পী কবীর সুমন (Kabir Suman)। হাসপাতালের বেডে বসেই ফেসবুক লাইভ করে চিকিত্‍সক দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সংগীতশিল্পী।

ফেসবুক লাইভে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) চিকিত্‍সা পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করলেন কবীর সুমন(Kabir Suman)। স্পষ্টই বললেন, বাম জমানার হাসপাতাল অনেক পাল্টেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জমানাতে। চিকিত্‍সা পরিকাঠামোয় এসেছে আমূল পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার চিকিত্‍সক দিবসের বিশেষ দিনে চিকিত্‍সক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত সকলকে কুর্নিশ জানান সুমন।

সুমন লাইভে বলেন, 'সোমবার ভোর থেকে আমার চিকিত্‍সা শুরু হয়। অসামান্য তত্‍পরতার সঙ্গে তাঁরা আমার চিকিত্‍সা শুরু করেন। মাত্র তিন দিন হয়েছে। এখন অনেক সুস্থ বোধ করছি।' তাঁর এই সুস্থ বোধ করার নেপথ্যে যে চিকিত্‍সক এবং নার্সদের যে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে, তা-ও জানান সুমন। বলেন, ' এই যে সুস্থ বোধ করছি এর মূলে রয়েছে আমার চিকিত্‍সক বন্ধুরা। চিকিত্‍সা সংক্রান্ত কাজে যাঁরা ব্যস্ত আছেন, রাতের পর রাত জাগছেন। মলিনতা নেই, হাসি ছাড়া কিছু নেই তাঁদের মুখে। এবং সস্নেহে তাঁরা এই কাজ করছেন। এই স্নেহের জায়গা বড়ই চমত্‍কার।'

বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো কী ছিল সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সুমন। তাঁর কথায়, 'সে সময় মানুষ সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পেতেন। এখন মানুষ যেচে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কৃতিত্ব রাখছে তা অতুলনীয়। এর মূল্যায়ন সভ্য মানুষ কবে করবেন তা জানি না।' সুমন জানান, ফ্রান্স, তত্‍কালীন পশ্চিম জার্মানি, হল্যান্ডের সেরা হাসপাতাল দেখেছেন তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলো তার থেকে অনেক এগিয়ে। তাঁর কথায়, 'এ রাজ্যের হাসপাতালগুলো সবচেয়ে যে বিষয়টিতে এগিয়ে তা হল মানবিক স্পর্শ। বাইরে দেশগুলোতে আন্তরিক ভাবে রোগীদের দেখাশোনা করলেও তার মধ্যে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। কিন্তু এখানে রয়েছে একটা আত্মীয়তার জায়গা। এই পরিবর্তন আনতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গর সরকার।'

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours