১০ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বাবা। এই ঘটনার বদলা নিতে অভিযুক্ত এক বিচারাধীন ব্যক্তিকে নৃশংস ভাবে খুন করলো ছেলে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থানা এলাকায়। দলমোড় চা বাগানের গারো বস্তিতে ঘটেছে খুনের ঘটনা।
খুনের নৃসংশতা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত দুঁদে পুলিশ কর্তারা। খুনের অপরাধে মূল অভিযুক্ত ছেলে সুনীল পাখরিন (২৬) ও তার এক সাগরেদ অজয় তামাংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনায় জড়িত আরও তিন অভিযুক্তের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চলছে ।খুন হওয়া ব্যক্তির নাম  সুরজ শাহ(২৮)।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর,  সুরজ শাহ সুনীল পাখরিনের বাবা দীপ বাহাদুর পাখরিনকে দশ বছর আগে  বচসার জেরে খুন করে।
দীপ বাহাদুরকে খুনের অভিযোগে আড়াই বছর জেলও খাটতে হয়েছে অভিযুক্ত সুরজ শাহকে।

আলিপুরদুয়ার আদালতে এইমামলাটি এখনও  বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।

লকডাউনের জেরে সুনীল পাখরিন চা বাগান  ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে  পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যোগদেয়।

করোনার কারণে সম্প্রতি সে বাড়ি ফিরেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। শনিবার এলাকায় তুমুল বৃষ্টি চলছিল। 

দুর্যোগের রাতে  সুনীল ও তার চার বন্ধু মিলে পরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করে সুরজ শাহকে।

তার মাথায় শাল কাঠের বাটাম দিয়ে প্রথমে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।

তারপর মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে ধারালো ভোজালি দিয়ে সারা শরীরে এলোপাতাড়ি  কোপানো হয়।

গারোবস্তির এক নির্জন জায়গায় মৃতদেহটি ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে এসে  ঘুমোতে যায় সুনীল ও তার সঙ্গীরা তদন্তে নেমে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের

ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি খুনের কথা কবুল করেছে সুনীল।

বাবার মৃত্যুর বদলা নিতেই সে খুন করেছে বলে স্বীকারও করে।বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষছিল সুনীল।

শনিবার দুর্যোগের রাতে মওকায় পেয়ে সুরজ শাহকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে সুনীল ও তার সাগরেদরা। 

বীরপাড়া থানার ওসি প্রেম কুমার থামি জানিয়েছেন "খুনের মোটিভ দেখে সত্যিই চমকে উঠতে হয়।মূল অভিযুক্তসহ আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাকি তিন জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।ঘটনাস্থল থেকে একটি শাল কাঠের বাটাম উদ্ধার হয়েছে।খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রেরও খোঁজ করা হচ্ছে।" আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours