মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ফের সঙ্কট উত্তরাখণ্ডে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াত। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বে আবার নতুন কাউকে আনতে হবে বিজেপি-কে।



ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে সরিয়ে কয়েক মাস আগেই তীর্থ সিং রাওয়াতকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। যদিও তীর্থ সিং রাওয়াত রাজ্যের বিধায়ক নন। তিনি পাওরি কেন্দ্রের সাংসদ। নিয়ম মতো ছ' মাসের মধ্যে রাওয়াতকে কোনও কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হত। রাজ্যের দু'টি আসন খালিও রয়েছে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে আগামী বছরের শুরুতেই ভোট। ফলে কয়েক মাসের জন্য নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন করাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা অতিমারির মধ্যে একের পর এক রাজ্যে নির্বাচনের জন্য এমনিতেই আদালতের রোষে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এই পরিস্থিতিতে মেয়াদ ফুরিয়ে আসা উত্তরাখণ্ড বিধানসভার জন্য নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের পথে হাঁটবে না, সেটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত মেয়াদ ফুরিয়ে আসা বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রে উপনির্বাচন করা হয় না।

জানা গিয়েছে আগামিকাল, শনিবার সকালেই দেহরাদুনে রাজ্যপাল বেবি রানি মৌর্যের সঙ্গে দেখা করবেন তীর্থ সিং রাওয়াত। শনিবার দুপুর তিনটের সময় বিজেপি-র বিধায়ক দলেরও বৈঠকে বসার কথা। সম্ভবত, সেই বৈঠকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া হবে।

বুধবারই তীর্থ সিং রাওয়াতকে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়। তার পরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়। দিল্লিতে গিয়ে জে পি নাড্ডা, অমিত শাহদের সঙ্গে দেখা করেন রাওয়াত। বৃহস্পিবার দেহরাদুনে ফেরার কথা থাকলেও অবশ্য তিনি ফেরেননি। জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর রাওয়াত বলেন, উপনির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত রপুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের উপরে নির্ভর করছে। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, দল তা মেনে চলবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours