জেনেভা, ১৮ জুন : করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। সাম্প্রতিক অতীতে সবথেকে বেশি ভয় ধরিয়েছে করোনার ভারতীয় প্রজাতি ডেল্টা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রজাতির সংক্রমণ বাড়তেই দেখেই ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট থেকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নে বদলে গেছে ডেল্টা। এর মধ্যেই ভয় ধরাতে শুরু করেছে আর এক প্রজাতি ল্যাম্বডা (Lambda)। বিশ্বের ২৯টি দেশে এখনও পর্যন্ত এই প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। ল্যাম্বডা ভাইরাসের প্রথম খোঁজ মিলেছিল দক্ষিণ আমেরিকায় সময়কাল ২০২০-র আগস্ট। বছর ঘুরলেও প্রথমে বিপদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি এই ল্যাম্বডা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য জানাচ্ছে, ল্যাম্বডা প্রজাতিকে যতটা নিরীহ মনে করা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।
জানা গেছে, ল্যাম্বডা প্রজাতির শক্তির কাছে তুচ্ছ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সম্প্রতি এমনই তথ্য চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এদিকে চিন্তা বাড়িয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ল্যাম্বডা প্রজাতি। গত ৬০ দিনে চিলিতে করোনা আক্রান্ত ৩২ শতাংশের শরীরে মিলেছে ল্যাম্বডার উপস্থিতি। একইভাবে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরেও গণহারে ছড়াচ্ছে ল্যাম্বডা। গত এপ্রিল থেকে ল্যাম্বডার দাপটে বিধ্বস্ত পেরু। সেখানে করোনা আক্রান্তের ৮২ শতাংশের শরীরে এই নতুন প্রজাতির উপস্থিত মিলেছে।
ডেল্টা প্রজাতির ভীতি এখনও বিশ্বকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাই ল্যাম্বডা নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে খোজখবর। নতুন প্রজাতির নাড়ি নক্ষত্র জানতে আরও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। নতুন বিপদ হিসেবে ল্যাম্বডা প্রজাতিকে চিহ্নিত করতে হলে আরও পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছেন। তাই এখনও ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্টেই আটকে রয়েছে ল্যাম্বডা। ডেল্টার মতো ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নে আসতে হলে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours