বৈজ্ঞানিকদের একাংশ বলছেন, করোনার তৃতীয় ওয়েভে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরাও। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানাল, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি জাইদাস ক্যাডিলা। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে মোদী সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভারতে টিকাকরণ কেমন এগচ্ছে, তা এদিন খতিয়ে দেখেন মোদী। তিনি বলেন, আরও অল্প সময়ের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই কাজে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন। এদিন মোদী দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, 'দেশে টিকাকরণ কীভাবে চলছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে মোদীর সামনে। স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারির কোভিড যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের কত শতাংশ এখনও পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন, তাও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।' স্বাস্থ্য দফতরের অফিসাররা মোদীকে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে দেশে কী পরিমাণে ভ্যাকসিন উত্‍পাদন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গত ছ'দিনে দেশে ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও কানাডার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষ ভারতে ওই সময়ের মধ্যে টিকা নিয়েছেন।' পরে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের ১২৮ টি জেলায় ৪৫-এর বেশি বয়সী মানুষজনের ৫০ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৬ টি জেলায় ৪৫ উর্ধ্বদের ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কীভাবে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া যায়, সেবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসাররা রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা করছেন। এরই মধ্যে দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির দেহে দু'রকম ভ্যাকসিন দিলে আরও দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে। এইমস প্রধানের কথায়, 'আমাদের আরও তথ্য প্রয়োজন। আগামী দিনে ফাইজার, মোডার্না, স্পুটনিক ভি এবং জাইদাস ক্যাডিলার মতো নানারকম ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। কোন কোন ভ্যাকসিন মেশালে ভাল ফল হবে আমরা এখনও জানি না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, একাধিক ভ্যাকসিন মেশালে ভাল ফল হতে পারে।' বিভিন্ন ভ্যাকসিন মেশালে কী ফল হয়, তা নিয়ে সরকারি স্তরে পরীক্ষা চলছে। কয়েক মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। গত মাসে এই ধরনের একটি পরীক্ষার ফলাফল ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের প্রথমে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে সেকেন্ড ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল ফাইজার। তাতে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দু'টি ভ্যাকসিনের মিশ্রণ অ্যান্টিবডি তৈরিতে কতদূর সহায়ক হয়েছে, এখনও জানা যায়নি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours