মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 'নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব', মমতার খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু।
হাইলাইটস
মমতাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব
কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে হামলার অভিযোগ
ডিজিটাল ডেস্ক
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার কয়েক ঘণ্টা পরই মমতার খাসতালুকে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন দলনেত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, 'নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব'। একইসঙ্গে তৃণমূলনেত্রীকে বিঁধে এদিন কাঁথির অধিকারী বাড়ির মেজো ছেলে বলেছেন, 'আজ যে ওখানে সভাটা হয়েছে, সেটা হায়দরাবাদের একটা পার্টির মতো সভা হয়েছে'। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ঘিরে এদিন দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে।উল্লেখ্য, এদিন শুভেন্দুর ডেরায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তিনি এবার নন্দীগ্রামে ভোট লড়বেন।
এই প্রসঙ্গে কলকাতায় মিছিল শেষে সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'নন্দীগ্রামে দাঁড়াতেই পারেন। BJP শৃঙ্খলিত দল, অনুশাসন রয়েছে। সভায় দাঁড়িয়ে এভাবে প্রার্থীর নাম বলা যায় না। দল আমায় প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে। লিখে রাখুন, নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে আপনাকে যদি হারাতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব'।
মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বলেছেন, '৫ বছর অন্তর অন্তর নন্দীগ্রাম যান উনি। ভোটের আগে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। আপনি কী করেছেন নন্দীগ্রামের জন্য? অষ্টম শ্রেণির বইটা দেখবেন...এই দলের নেত্রীর এত বুদ্ধি যে, ২৯৪টি আসনেই উনি লড়ছেন। অথচ বিহারের একজনের ঠিকাদারের বুদ্ধি ধার করতে হয়েছে'।
সভামঞ্চ থেকে এদিন শুভেন্দু বলেন, 'এরপর আমি আর দিলীপদা গড়িয়া থেকে হাজরা মিছিল করব। এবার হাজরায় সভা করার অনুমতি দেয়নি, এরপর হাজরায় করব, পুলিশের অনুমতির জন্য চিঠি দেওয়া হবে, অনুমতি না দিলেও করব'।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ঘিরে এদিন দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। মিছিলে হামলার অভিয়োগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। রাস্তার দু'পাশ মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। এই হামলার জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অরূপ বিশ্বাস
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে BJP সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যে ঘটমা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার পর আজ ফের যেভাবে BJP-র মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল, তাতে একুশে ভোটের আগে নয়া মোড় নিল রাজ্য রাজনীতি।
হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'তৃণমূলের ছেলেরা ধ্বংসের রাজনীতি করে না। BJP-র কাজ এটা। পূর্বপরিকল্পিত হামলা এটা। পুলিশের জন্যই সাধারণ মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ তার কাজ করেছে'।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours