অন্তত সামনের তিন মাসের মধ্যে বাজারে, দোকানে আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বরং তা আরও বাড়তে পারে।এ

ই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান দেশের অর্থনীতির যে ছবি তুলে ধরেছে তাতে এই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়ে উঠল।

সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, দেশে এখন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি চলছে। তা আরও বাড়বে। আগামী অন্তত তিন মাস তো বটেই।

গত ৬ বছরে দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বাধিক হয় অক্টোবরে। ৭.৬১ শতাংশ।

সরকারি তথ্যাদি থেকে বেরিয়ে আসছে দেশে এখন যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি চলছে তার ৪৬ শতাংশের দায়-ভাগ বর্তাচ্ছে আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মাংস, টম্যাটোর উপর। এই সবক’টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই গত কয়েক মাস যাবৎ আকাশছোঁয়া। রোজই বাড়ছে তাদের দাম। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের ইঙ্গিত সেই দাম খুব শীঘ্র কমবে এমন আশা তো নেই-ই, বরং আগামী তিন মাস তা আরও বাড়ারই সম্ভাবনা বেশি।

খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবর থেকে কেন বাড়তে শুরু করেছে দেশে তারও কয়েকটি কারণ জানানো হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে। তাদের মধ্যে অন্যতম অতিবৃষ্টি ও ভোজ্য তেলের আমদানির আরও মূল্যবান হয়ে ওঠা।

ফলনের মুখে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, পরের ফসলের বীজেরও ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বাজারে, দোকানে আনাজপাতির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে মূলত অতিবৃষ্টির জন্যই।

ওই পরিসংখ্যান জানিয়েছে দেশে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি হু হু করে বেড়ে গিয়ে গত অক্টোবরে ১১.০৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ৯ মাসে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দেশে এতটা বাড়েনি।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours