একদিকে দলের বেসুরো নেতাদের বার্তা, অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কারে ভরা ছিল অভিষেকের প্রচারসভার বক্তব্য৷
#বজবজ: দল মায়ের সমান, তাই মায়ের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাঁকে ছেড়ে কথা বলা কি উচিৎ? প্রচারসভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের কাছে সরাসরি সেই প্রশ্নই রাখলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুরু থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে, রবিবারের সভা থেকে দলের 'বেসুরো' নেতাদের প্রতি বার্তা দেবেন দলের তরুণ তুর্কী৷ সেই মতই কারও নাম না করেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে দল এবং দল নেত্রীই তৃণমূলের শেষ কথা বলেন৷ কেউ যদি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না৷ 'বেসুরো' নেতাদের প্রতি দলের মনোভাবই একপ্রকার নিজের বক্তব্যে তুলে ধরলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ৷ পাশাপাশি কোনও নেতার নাম না করে তিনি আরও বলেন যে উচ্চাক্ষাঙ্কার ফলে যদি কেউ দল ছাড়েন, তিনি আসলে মেরুদন্ডহীন৷ মূলত শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেন অভিষেক৷ তাঁর কথায় 'রাতারাতি কেউ নেতা হয়নি, কেউ প্যারাশ্যুটে নামেনি, লিফ্টে ওঠেনি৷ লিফ্টে উঠলে আমি দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়াতাম'৷গত কয়েকদিন নানা পরিবর্তন ঘটেছে দলে৷ মন্ত্রত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু৷ তিনি দল ছাড়তে পারেন, এই জল্পনাও চলছে জোরদার৷ দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন মিহির গোস্বামী৷ দল ছাড়ছেন শীলভদ্র দত্ত৷ কিছুটা অন্য সুর জটু লাহিরীর গলায়৷ তাঁদের প্রতি দলের মনোভাব কী, সেটা অভিষেকের বক্তব্য আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল৷
২০২১-কে সামনে রেখে যে প্রচারসভা শুরু করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক, তাতে বিজেপির প্রতিও তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্য আরও একবার বুঝিয়ে দিল যে আগামিদিনে এভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট সুর চড়াবে দল ৷ আজ, রবিবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম নামলেন ময়দানে৷ এবং বুঝিয়ে দিলেন যে খোলাখুলি বিজেপির বিরোধের সুরই থাকবে তাঁদের এই প্রচার ঘিরে৷ রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷দুপুর ২টোর সময় মুচিশা হাইস্কুল মাঠে শুরু জনসভায় তিনি বলেন যে বাংলায় তৃণমূলকে আটকানো বিজেপির কাজ নয়৷ এবং একের পর এক বিজেপি নেতাদের নাম তুলে ধরে তিনি বলেন যে, সকলেই তৃণমূলের ভাইপোকে নিয়ে কথা বলছে, তবে কারও সাহস নেই সরাসরি নাম করা৷ অভিষেকের মতে বিজেপি নেতাদের বুকের পাটা নেই৷ তিনি বলেন যে বিজেপি দেশ ভাগের রাজনীতি করলেও তৃণমূল উন্নয়নের রাজনীতি করে৷ সাধারণের পাশে থাকাই তৃণমূল দলের একমাত্র লক্ষ্য৷ এর উদাহরণ দিতে গিয়ে গত ১০ বছরের তৃণমূল সরকারের একের পর এক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন অভিষেক৷ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা উল্লখে করেন তিনি৷ পাশাপাশি ১ তারিখ থেকে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে৷ জনমুখী প্রকল্পে নাম বাদ গেলে সেখানে যোগাযোগ করলে নাম উঠে যাবে৷ জানান সাংসদ৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours