মহিষাদল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর স্মরণসভা প্রকৃতার্থে স্মরণসভাই থাকল।
#মহিষাদল: মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর প্রথম সভা। নিজেই বলছেন অরাজনৈতিক সভা। ফলে শুভেন্দু অধিকারী কী বলেন তা জানতে কান পেতেছিল গোটা রাজ্য। বিরাট মিছিল করে সভামঞ্চে পৌঁছতে দেখা যায় শুভেন্দুর অনুগামীদের। মহিষাদল থেকে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু সভাকে রাজনীতির রঙ দিলেন না। দেখা গেল না স্বরের সেই ওঠাপড়াও, স্মরণসভা প্রকৃতার্থে স্মরণসভাই থাকল।শুভেন্দু অধিকারী যখন মহিষাদলের সভামঞ্চে উঠছেন, ঘড়ি ধরে তাঁর কয়েক মিনিট আগে শুভেন্দুর নাম না করেই বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন,"লিফটে উঠলে পতন অনিবার্য, বিশ্বাসঘাতকতা করলে কড়ায় গণ্ডায় জবাব দেওয়া হবে। ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সঞ্চার হয়, শুভেন্দু কি উত্তর ফিরিয়ে দেবেন? যে ফাটল দিনের আলোয় পরিষ্কার তা কি ভাঙনের আকার নেবে? শুভেন্দু কিন্তু একবারের জন্যেও সুর চড়ালেন না।
হাততালি দিতে থাকা অনুগামীদের থামিয়ে বললেন, "স্মরণসভায় হাততালি কাম্য নয়।"
সভার শুরুতেই তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভাস্থলে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের। অতীতচারণা দিয়ে সভা শুরু করেন শুভেন্দু। জানান নন্দীগ্রাম পর্বের পরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় কুমুদিনী ডাকুয়া, সুশীল ধারাদের সঙ্গে। রণজিৎ বয়াল, সুশীল ধারাদের বীরগাথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, "রণজিৎবাবুরা যে কাজ আমার হাতে দিয়ে গিয়েছে তা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করব।"বাংলা বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করে যাব", অঙ্গীকার শুভেন্দুর। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন অরাজনৈতিক কর্মসূচিও। ক্ষুদিরামের জন্মদিন ও তাম্রলিপ্ত দিবসে পথে নামার কথা জানালেন শুভেন্দু। তততদিন কি বিধায়ক পদে বহাল থাকবেন? শুভেন্দু আজ নীরব, মৌন, শান্ত, ঝড়ের আগে যেমন থাকে আকাশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours