সোমবার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গত ৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী, ফিরোজ শেখ এবং নীতীশ সারদাকে। এদিন বিচারপতি এসএস শিন্ডে এবং বিচারপতি এমএস কার্নিকের বেঞ্চ জানান, আবেদনকারীকে জামিন দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তবে, অর্ণব চাইলে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতকে চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, অর্ণব আলিবাগ দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। সেক্ষেত্রে চার দিনের মধ্যে তিনি মুক্তি পান কি না, দেখার সেটাই।
এ দিকে, অর্ণবকে রবিবার সকালে যখন তালোজা জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, পুলিশ ভ্যান থেকে চিৎকার করে অর্ণব জানিয়েছিলেন, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর অর্ণবের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে ফোন করেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। অর্ণবের সঙ্গে যাতে তাঁর পরিজনকে দেখা করতে দেওয়া হয়, সেই বিষয়টিও দেশমুখকে দেখতে বলেন কোশিয়ারি।
অর্ণবকে রাখা হয়েছিল আলিবাগের একটি বন্দি-কোয়ারান্টিন সেন্টারে। কিন্তু সেখানে তাঁর মোবাইল ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় রবিবার সকালে তালোজা জেলে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। অর্ণবের দাবি, আলিবাগের জেলর তাঁকে হেনস্থা করেছেন। অর্ণবের স্ত্রী সাম্যব্রতা রায় গোস্বামীর বক্তব্য, 'চার রাত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কাটানোর পর আমার স্বামীকে রবিবার সকালে কার্যত টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছে। তিনি বার বার বলছিলেন তাঁর জীবন বিপন্ন, কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উনি আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। উনি সব কথা জানিয়ে হাতজোড় করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ ও জামিন চেয়েছেন।'
কিন্তু অর্ণবের জামিনের সিদ্ধান্ত যে নিম্ন আদালতের হাতেই সে কথা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতিদের মতে, অভিযুক্তের মতোই অভিযোগকারীর অধিকারও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। তদন্ত বন্ধ করার যে আবেদন অর্ণব জানিয়েছিলেন, সেটাও খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours