চিনের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক শেষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনই ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়েছে বেশিরভাগ ভারতবাসী। তবে ভারতের বাজারে চিনের ফলাও ব্যবসা। ছোট থেকে বড়, অনেক জিনিসের ক্ষেত্রেই ভারতবাসী চিনের উপর নির্ভরশীল। কারণ সস্তায় জিনিস দিতে চিন সবার আগে। একই জিনিস দেশের বাজারে উত্পাদন করতে গেলে খরচ হতে পারে বেশি। তাই এত সহজে কি চিনের সামগ্রীর উপর নির্ভরশীলতার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব! সেই উত্তর সময় দেবে। তবে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহিদ হওয়ার পর থেকে চিনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে গোটা দেশ। চিনবিদ্বেষের এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে আইপিএলেও। চাইনিজ মোবাইল সংস্থা VIVO-র সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছে বিসিসিআই। 


আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসাবে ছিল চাইনিজ VIVO। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, শেষবেলায় এসে ভিভোর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ বড় ঝটকা বটে! তবে তাতে খুব একটা আর্থিক সঙ্কটে পড়বে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এমনই দাবি করেছেন তিনি। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরবে শুরু হবে আইপিএল। তার আগে টাইটেল স্পনসর হিসাবে বেশ কয়েকটি বড় সংস্থার নাম ভেসে আসছে। এরই মধ্যে অ্যামাজন-এর নামও শোনা যাচ্ছে। অর্থাত্, বোর্ড ভিভোর সঙ্গে চুক্তি ভাঙায় খুব একটা চিন্তিত নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে লগ্নি করার সুযোগ পেতে মরিয়া একাধিক বড় সংস্থা। বিসিসিআই তাই চিন্তিত নয়। 
টাইটেল স্পনসর যে অর্থ দেয় তার অর্ধেক আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে বাটোয়ারা করা হয়। ভিভো ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা চুক্তি অনুযায়ী ২১৯০ কোটি টাকা দিয়েছে বিসিসিআইকে। অর্থাত্ প্রতি বছর প্রায় ৪৪০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছিল এই চাইনিজ সংস্থা। সৌরভ গাঙ্গুলি এদিন বলেছেন, ''আমি আর্থিক সঙ্কট বলব না। তবে হ্যাঁ, এটা ধাক্কা বটে! বিসিসিআই যথেষ্ট শক্তিশালী একটি সংস্থা। ক্রিকেটার, কর্তা, দর্শকরা এই সংস্থাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। আমাদের প্ল্যান বি তৈরি। এই ধাক্কা সামলে উঠব আমরা। নতুন স্পনসর পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তাই এটাকে বড় ক্ষতি বলে আমরা ধরছি না।''
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours