আর মাত্র দু'মাস বাকি। বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গা পুজো আসছে। যদিও শহর দেখে তা বোঝার উপায় নেই। নেই পুজো পুজো গন্ধ! না আছে পুজো নিয়ে কোনো ভাবনা! এমনকী এখনও পর্যন্ত বায়না হয়নি প্রতিমার। প্রতি বছর এই সময়ে ৮০ শতাংশের বেশী প্রতিমার বায়না হয়ে যায়। বায়না হওয়া তো দূরে থাক, এবারে এখনও পর্যন্ত বড় কোনো ক্লাব কর্তার পা পড়েনি শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে। কিছু বাড়ির পুজোর ছোটো এক চালার প্রতিমার বায়না হয়েছে। বড় জোর ফুট পাঁচেকের প্রতিমার বায়না হয়েছে। শিলিগুড়ির কোনো ক্লাবই এখনও পর্যন্ত প্রতিমার বায়না 
করেনি। বড় পুজো উদ্যোক্তারাও এবারে বিগ বাজেটের পুজো করছে না। থিম পুজোও নেই। নমো নমো করে সারবে বাঙালীর সেরা উৎসব।
করোনা  মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে পুজোর বড় আয়োজন থমকে গিয়েছে। বাজেটেও অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে। অন্যবারে এই সময়ে প্যান্ডেলে বাঁশ পড়ে যায় বিভিন্ন ক্লাবের সামনে। চলে বড় বড় মণ্ডপ তৈরীর কাজের প্রস্তুতি। এবারে তার দেখা নেই। কিছু বড় পুজো উদ্যোক্তারা খুঁটি পুজো করেছে। শুধু শহরই নয় বাইরে থেকেও কুমোরটুলিতে আসেনি প্রতিমার বায়না। পাহাড় তো বটেই ভিন রাজ্য থেকে দূর্গা প্রতিমার বায়না আসত কুমোরটুলিতে। সিকিম, অসম-সহ উত্তর, পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তারা এখান থেকে প্রতিমা নিয়ে যায়। 

পাশাপাশি নেপাল এবং ভুটানেরও একাধীক মণ্ডপে পুজিত হত এখানকার  মৃৎ শিল্পীদের তৈরী মায়ের প্রতিমা। এবারে ভিন দেশ থেকেও আসেনি প্রতিমার বায়না। মাথায় হাত মৃৎ শিল্পীদের। কুমোরটুলিতে সহকারী  শিল্পীরাও নেই। বায়না না আসায় মন খারাপ শিল্পীদের। মৃৎ শিল্পী নিরঞ্জন পাল জানান, সংকটজনক অবস্থা। পুজো প্রায় দোর গোঁড়ায়, অথচ হয়নি কোনো বায়না। তাদের আশা, বায়না আসবে। সেই আশাতেই বসে রয়েছে কুমোরটুলির মৃৎ শিল্পীরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours