প্রতিদিনই এই শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাসিন্দারা বলছেন, যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না।
#বর্ধমান: বর্ধমান শহরে করোনার সংক্রমণ রুখতে জেলা প্রশাসন নানান বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। অথচ এই শহরে সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না! জেলার মধ্যে এই শহরেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হওয়ায় রীতিমতো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন বাসিন্দারা। প্রতিদিনই এই শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাসিন্দারা বলছেন, যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। লালারসের নমুনা পরীক্ষা ও অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়লে আরও অনেকের দেহেই করোনার সংক্রমণ মিলবে বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা।
শহর এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে করোনা পরীক্ষা ব্যাপকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত করোনা পরীক্ষার দাবি তুলেছেন অনেকেই। সেইসঙ্গে কন্টেইনমেন্ট জোনে কীটনাশক প্রয়োগ, সেখানে নিয়মিত স্যানিটাইজ করার কাজে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। কন্টেইনমেন্ট জোনে তেমন নজরদারিও চোখে পড়ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, শহর এলাকায় যাতে আরও বেশি করে করোনার পরীক্ষা করা যায় তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানে প্রতিদিনই বেশ কয়েকজন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে। বর্ধমান শহরের প্রায় সব এলাকাতেই করোনার সংক্রমণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শহর জুড়ে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ চলছে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। গত কয়েকদিনের তথ্যে দেখা যাচ্ছে এই শহরে সংক্রমণ একইরকম ভাবে বেড়ে চলেছে। ১০ অগাস্ট বর্ধমান শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১ জন। তার পর দিন এই শহরে ২৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ১২ অগাস্টও এই শহরে ২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর দিন ফের ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হন। ১৪ অগাস্ট এই শহরে ২৩ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ১৫ অগাস্ট নতুন করে ১১  জন করোনা আক্রান্ত হন। ১৬ অগাস্ট ২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ২৪ ঘন্টায় এই শহরে আরও ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ছয় নম্বর ওয়ার্ড ও ২৪  নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দুই নম্বর ওয়ার্ড, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৯  নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours