ইতিমধ্যেই আম্ফানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার একটা বড় অংশ। ঝড় সামাল দিলেও মুষড়ে পড়েছিল সুন্দরবনও। এবার বড়সড় প্লাস্টিক দূষণের জেরে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে এই ম্যানগ্রোভ প্রদেশ। সূত্রের খবর, আম্ফান পরবর্তী সময়ে কয়েক টন প্লাস্টিকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা সুন্দরবন

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন এই এলাকার মানুষ জন। বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডবে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর মাটিতে মিশে যায়। পথে বসেন লক্ষাধিক মানুষ। এমতাবস্থায় সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যায় একাধিক এনজিও, নাগরিক সংস্থা অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি বর্গ। রাজ্যব্যাপী অর্থ সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ত্রাণ।

প্লাস্টিক দূষণের জেরে ক্ষতির আশঙ্কা সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে

বঙ্গোপসাগরে মিলিত হওয়ার মুখে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদীর সঙ্গম স্থলেই জন্ম সুন্দরবনের। এই ব-দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী নদী থেকে বাংলাদেশের বলেশ্বর নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। এদিকে গত মাসে আম্ফানের হাত ধরে ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়-ঝঞ্ঝা আর এখন প্লাস্টিক দূষণের কারণে বড় সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র সমূহ ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে।


সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যও সমূহ ক্ষতির মুখে

আম্ফানের পর গত কয়েক সপ্তাহ যাবত কয়েক টন রেশন শুকনো খাবার, জামাকাপড়, জলের বোতল এবং ওষুধও পৌঁছানো হয় এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়। কিন্তু তার কারণেই বর্তমানে গোটা এলাকায় কয়েক টন প্লাস্টিকের বর্জ্য জামা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে সুন্দরবনের নদী গুলির স্বাভাবিক জলপ্রবাহকে অবরুদ্ধ হবার পাশাপাশি সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে।

সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যও সমূহ ক্ষতির মুখে

আম্ফানের পর গত কয়েক সপ্তাহ যাবত কয়েক টন রেশন শুকনো খাবার, জামাকাপড়, জলের বোতল এবং ওষুধও পৌঁছানো হয় এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়। কিন্তু তার কারণেই বর্তমানে গোটা এলাকায় কয়েক টন প্লাস্টিকের বর্জ্য জামা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে সুন্দরবনের নদী গুলির স্বাভাবিক জলপ্রবাহকে অবরুদ্ধ হবার পাশাপাশি সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে।


সুন্দরবনে জমা হয়েছে ২৬ মেট্রিক টনেরও বেশি প্লাস্টিক

বর্তমানে কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনে ২৬ মেট্রিক টনেরও বেশি প্লাস্টিক রয়েছে। এছাড়াও, বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ইতোমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে মিশেছে যার হাত ধরে অদূর ভবিষ্যতে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সমূহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours