ভিডিয়োতে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে ঘিরে চলা বিতর্কের প্রসঙ্গ। সে বলছে," তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার রাজবংশী ও কামতাপুরী জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। 

উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনগণ ক্রমাগতভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এ অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে।" এরপরই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তোলে সে। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজবংশী সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়।


TMC রাজবংশী ও কামতাপুরীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে', আবার বার্তা KLO প্রধানের
জীবন সিংহ


নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (KLO) চিফ জীবন সিংহ নিজের গোপন ডেরা থেকে বরাবরই বার্তা দেয়। একাধিকবার দেখা গিয়েছে, সে বিবিধ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত হুমকি দিয়ে এসেছে। এবার ভোটের ঠিক আগে-আগে আবারও গোপন আস্তানা থেকে বার্তা এল জীবনের। অপহরণ ও খুনে অভিযুক্ত রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের হয়ে জোর সওয়াল করে সামাজিক মাধ্যমে সরব হল সে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি ৯ বাংলা যাচাই করেনি।

ভিডিয়োতে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে ঘিরে চলা বিতর্কের প্রসঙ্গ। সে বলছে,” তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার রাজবংশী ও কামতাপুরী জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনগণ ক্রমাগতভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এ অবিচারের অবসান ঘটাতে হবে।” এরপরই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তোলে সে। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজবংশী সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়। বলে, “এই সরকারের হয়ে রাজবংশী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করা বন্ধ করুন। দল ত্যাগ করুন।” আর ভোটের আগে জীবনের এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত, উত্তরে তৃণমূল ধীরে-ধীরে ফুটলেও এখনও সেখানে জমি শক্ত রয়েছে বিজেপির। আর এখন জীবন সিংহ যে বার্তা দিল তাতে তৃণমূলের মাথা ব্যথা আরও বাড়ল বলেই মনেই করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তবে কি ভোটের আগে রাজবংশী ইমোশানকে হাতিয়ার করতে চাইছে কেএলও চিফ? বঞ্চনার ইস্যুকে হাতিয়ার করে উত্তরে তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করতে চাইছে সে? নয়ত এভাবে রাজবংশী তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদের বার্তাই বা কেন দিতে গেল সে? KLO প্রধানের এই বার্তা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশাসনিক মহল ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।



প্রয়োজনে অটো নিয়ে ঘুরব...', বাড়ি ফিরেই কেন বললেন পার্থ?
এখানে উল্লেখ্য, এর আগেও জীবন সিং আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ-কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ-কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না।” এরপর ভোটের আগে ফের সেই একই দাবি নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, গত ২৮ অক্টোবর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নিউটাউন থেকে স্বপন কামিল্যা নামে এক সোনার ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার দুদিন পর তাঁর শ্যালক গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসাবে রাজগঞ্জের বিধায়কের নাম উঠে আসে। এ দিন সেই অভিযুক্তের পক্ষেই সওয়াল কেএলও প্রধানের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours