আতঙ্ক নয়, উৎসব! SIR-এ রেকর্ড সাড়া গঙ্গাসাগরে, ফর্ম বিলি ১০% ছাড়াল; জেলায় প্রথম সাগর ব্লক
সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর দ্বীপে শুরু হওয়া এসআইআর (Special Intensive Revision) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নয়, বরং এক উৎসবের মেজাজ ও অভূতপূর্ব উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রুদ্রনগর গ্রাম থেকে শুরু করে সাগরের সমস্ত এলাকায় এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে।
বুধবার সকাল থেকেই রুদ্রনগর গ্রামে সরাসরি মাঠে নেমে কাজ করছেন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) ওয়ান এবং টু। তাঁরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন। অফিসাররা মানুষকে নির্ভয়ে দুটি করে ফর্ম হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— তাঁরা ফর্ম পূরণের সঠিক ও সহজ পদ্ধতি হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এই স্বচ্ছ পদক্ষেপে মানুষের মনে আস্থা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয়দের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে প্রাথমিক পর্যায়েই স্পষ্ট যে, এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে 'মিথ্যা ভীতি' ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তা কোনো কাজেই লাগছে না। সাধারণ মানুষ কোনো প্রকার অপপ্রচারে কান না দিয়ে গণতন্ত্রের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সানন্দে অংশ নিচ্ছেন। ভোটার তালিকার ত্রুটি সংশোধন ও যাচাইকরণের এই সুযোগ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত বা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যযুক্ত ভোটারদের মধ্যে এক নতুন আশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশাসনের তৎপরতা ও জনগণের ইতিবাচক সাড়ার ফলস্বরূপ, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সাগরে এখনও পর্যন্ত ১০.০৮% ফর্ম দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তথা জিবিডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানান, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা গত ৩০শে অক্টোবর সাগর ব্লকের বিএলও টু-দের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করেছেন।" তিনি আরও যোগ করেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ফর্ম পূরণে সহযোগিতা করছে। সরকারি প্রতিনিধি বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিএলও টু-রাও থাকছে, যারা ফর্ম পূরণের পদ্ধতি বোঝাচ্ছে।" সন্দীপ কুমার পাত্র আরও দাবি করেন যে, ফর্ম বিলিতে সাগর ব্লক জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours