তৃণমূল যখন বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, তা নিয়ে কমিশনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে, তখন অবৈধ ভোটার নিয়ে কমিশনের উপর পাল্টা চাপ বাড়াল বিজেপি। গেরুয়া শিবির বারবার অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা বাংলায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ভোটার কার্ড হয়েছে এই বাংলায়।
একজন অবৈধ ভোটারের নাম থাকলেই নির্বাচন কমিশন ঘেরাও', এবার হুঁশিয়ারি বিজেপির
এসআইআর নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় (SIR) একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। এবার পাল্টা হুঁশিয়ারি বিজেপির। এসআইআরের পর একজন অবৈধ ভোটারের নামও ভোটার তালিকায় থাকলে ১ লক্ষ বাঙালি নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
এসআইআর ঘোষণার আগে থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। কীভাবে মাত্র মাস দুয়েকের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, “আগে সরকার নির্বাচন করতে মানুষ ভোট দিতেন। আর এখন সরকার ঠিক করছে, কারা ভোট দেবেন।” তারপরই নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, “যদি একজন বৈধ ভোটারেরও অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে বাংলা থেকে এক লক্ষ লোক নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবেন।”
সরকার পাশে দাঁড়াক, নয়ত আত্মহত্যা করতে হবে, আমাদের সব শেষ-শেষ-শেষ'
নিম্নচাপের ঘোর কাটছে না, নভেম্বরেও 'নো এন্ট্রি' শীতের, আজ কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে?
তৃণমূল যখন বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, তা নিয়ে কমিশনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে, তখন অবৈধ ভোটার নিয়ে কমিশনের উপর পাল্টা চাপ বাড়াল বিজেপি। গেরুয়া শিবির বারবার অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা বাংলায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ভোটার কার্ড হয়েছে এই বাংলায়। ভোটও দিচ্ছে। এসআইআর হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে বলে বিজেপি নেতারা বারবার মন্তব্য করছেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার দাবি করেছেন, এসআইআর হলে এক কোটি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।
সেই অবৈধ ভোটার নিয়েই এবার কমিশনের উপর চাপ বাড়াল গেরুয়া শিবির। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সজল ঘোষ লিখেছেন, ‘একজন অবৈধ ভোটারেরও নাম যদি ভোটার লিস্টে থাকে, ১ লক্ষ বাঙালি নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে।’ রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, তৃণমূলের ‘বৈধ’ ভোটারের পাল্টা দিতেই ‘অবৈধ’ ভোটারের কথা বলছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ৪ নভেম্বর থেকে বাংলায় বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন বিএলও-রা। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দুই রাজনৈতিক দল কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours