নায়ক দেবের ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছর হলো। শুরুর দিকে ব্লকবাস্টার পকেটে পুরেছেন তুড়ি মেরে। কেরিয়ারের একদম গোড়া থেকে দেবকে সুপারস্টার তকমা দেওয়া হয়েছে টলিপাড়ায়। তারপর এমন একটা সময়ে আসে, যখন দেবের বাণিজ্যিক ছবির কয়েকটা দর্শক টানতে পারেনি। 


এরপর দেব নিজের প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করলেন। শুরু থেকেই যে অর্জুনের লক্ষ্যভেদ হয়েছিল এমন নয়। তবে সৃজনশীলতা-অস্ত্রে ক্রমশ শান দিতে শুরু করেন নায়ক। গত তিন বছর ধরে দেখা যাচ্ছে বাংলা ছবিকে কীভাবে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই যুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা হয়ে উঠেছেন দেব।
'বড় করে ভাবতে হবে, নিজেদের মধ্যে লড়াই নিয়ে ভাবলে হবে না', বললেন দেব



নায়ক দেবের ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছর হলো। শুরুর দিকে ব্লকবাস্টার পকেটে পুরেছেন তুড়ি মেরে। কেরিয়ারের একদম গোড়া থেকে দেবকে সুপারস্টার তকমা দেওয়া হয়েছে টলিপাড়ায়। তারপর এমন একটা সময়ে আসে, যখন দেবের বাণিজ্যিক ছবির কয়েকটা দর্শক টানতে পারেনি। এরপর দেব নিজের প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করলেন। শুরু থেকেই যে অর্জুনের লক্ষ্যভেদ হয়েছিল এমন নয়। তবে সৃজনশীলতা-অস্ত্রে ক্রমশ শান দিতে শুরু করেন নায়ক। গত তিন বছর ধরে দেখা যাচ্ছে বাংলা ছবিকে কীভাবে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই যুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা হয়ে উঠেছেন দেব। ২০২৪-এর দুর্গাপুজো থেকেই ক্রমাগত হিট দিচ্ছেন। গত বছর বড়দিনে আসেন ‘খাদান’। এই বছর ‘ধূমকেতু’ আর ‘রঘু ডাকাত’। যদি এক বছরের বাণিজ্যের অঙ্ক বিচার করা যায়, তা হলে ২০২৫-এ দেবই সেই নায়ক, যে একা বাণিজ্যে কুড়ি কোটির অঙ্ক ছুঁয়েছেন।


এই প্রসঙ্গে 
 দেব বললেন, ”আমি বাণিজ্যের অঙ্কে বিশ্বাস করি না। কিন্তু লড়াই হচ্ছে, যেটা অর্জন করছি, সেটা কত দিন ধরে রাখতে পারব। ২০ বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে, হিটের সঙ্গে সঙ্গে ফ্লপও আছে। আমার লড়াই হচ্ছে কীভাবে রিজিওনাল ইন্ডাস্ট্রকে ন্যাশানাল ইন্ডাস্ট্রি করব। বাকি রিজিওযাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছে এর মধ্যেই। কিন্তু আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। অথচ এই শহর থেকেই সিনেমার ইতিহাস শুরু হয়। অমিতাভ বচ্চন এক সময়ে কলকাতায় চাকরি করতেন। যখন উত্তরকুমারবাবু ছিলেন, তখন বাঙালি পরিচালকদের ছবি বাংলায় হওয়ার পর হিন্দি ভাষাতেও হয়েছে। এখানে তৈরি হওয়া গান দু’টো ভাষায় হতো। সেই দিন যদি ফিরিয়ে আনতে হয়, তা হলে একটু বড় করে ভাবতে হবে। নিজেদের মধ্যে কম্পিটিশন নিয়ে ভাবলে হবে না।”



দেব যোগ করলেন, ”কে আমাকে নিয়ে কী বলল, এখন সেটা নিয়ে ভাবলে হবে না। আমার মনে হয়, ইতিহাস মনে রাখবে, যখন বাংলার ছবিও, জাতীয় স্তরে পৌঁছে যাবে, তখন সবাই মনে রাখবে কার কী কনট্রিবিউশন। এটুকু বলব, যাঁরা ‘রঘু ডাকাত’ দেখেছেন তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ‘রঘু ডাকাত’-এর মতো ছবি খুব গুরুত্বপূর্ণ যখন আমরা অন্য় ভাষার ছবির সঙ্গে ক্যানভাসের নিরিখে লড়াই করছি। ‘কান্তারা’-র তো ক্যানভাস বড়। সেই ছবির সঙ্গে কিন্তু ‘ধূমকেতু’ বা ‘টনিক’ নিয়ে লড়াই করতে পারব না। ক্যানভাসই উড়িয়ে দেবে আমাদের। তাই ‘খাদান’ বা ‘রঘু ডাকাত’-এর মতো ছবির গুরুত্ব আলাদা।”

দুর্গাপুজোতে ৭৬০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও ছবি দেখেছেন দর্শকরা। দেব বললেন, এই বছরটা ঐতিহাসিক। সকাল সাতটায় ‘ধূমকেতু’-র শো হাউজফুল হয়েছে। আবার বাঙালিরা ৭৬০ টাকার টিকিট কাটার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে যাননি। দর্শকরা ৩০০০ টাকা দিয়ে হিন্দি ছবির টিকিট কাটেন। আগে বাংলা ছবির এমন দামি টিকিট করতে সকলে ভয় পেতেন। কিন্তু এই বছর সেটা সম্ভব হলো। এই প্রসঙ্গে প্রযোজন মহেন্দ্র সোনি জানালেন, ”বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে, এটা ভালো দিক। এতে বাংলা ছবির বিনিয়োগ দ্রুত ফেরত পাওয়া যায়। আমার মনে হয়, দর্শকের কাছে ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে যে কোনও দামের টিকিট কাটার সুযোগ থাকা দরকার। এসভিএফ সিনেমাস-এ আমরা নিশ্চিত করি যাতে ৯৯ টাকার টিকিট থাকে। জিএসটি কমার পর সেটা ৯৫ টাকা হবে, কিছু ছুটির সপ্তাহান্ত ছাড়া।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours