কলকাতা হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর কার্যত কোনও জট রইল না। প্রায় চার বছর পর রাজ্যে শুরু হবে একশো দিনের কাজ। সেই সঙ্গে সব বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রকে। একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই তৎপরতা, ১০০ দিনের বকেয়া মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টে রাজ্য
হাইকোর্টে রাজ্য
একশো দিনের কাজের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেয়েছে রাজ্য। তার মধ্যেই এই মামলাতেই আরও একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও আরও বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাগুলি দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য। ৭ নভেম্বর মামলার শুনানির।
কলকাতা হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর কার্যত কোনও জট রইল না। প্রায় চার বছর পর রাজ্যে শুরু হবে একশো দিনের কাজ। সেই সঙ্গে সব বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রকে। একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। দিল্লিতে ধরনা অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদেও ঝড় তুলেছিলেন। বাংলায় এই SIR আবহে অন্ততপক্ষে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। তার আগেই এই মামলার রায় রাজ্যের ক্ষেত্রে বড় জয় বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্ট করে বিজেপিকে বিঁধে ‘বহিরাগত জমিদারের পরাজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। পাল্টা আবার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, আদালত দুর্নীতির অভিযোগে মান্যতা দিয়েছে। তা নিয়ে আকচা আকচি চলছেই।
সুকান্তর কথায়, “হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লাফাচ্ছে, পরিস্কার সেখানে আদালত উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় টিম নির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের কথা রিপোর্টে তুলে ধরেছে। অর্থাৎ আদালতও মেনে নিয়েছে দুর্নীতি হয়েছে।” এদিকে, বিজেপি বিঁধে অভিষেক লিখেছেন, “বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের জন্য বড় পরাজয়।” এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে বড় জয়ের পরই এবার বাকি মামলাগুলোর নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours