জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন, "বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর পরিচয় জানার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। ভাগ্যজোরেই বেঁচে গিয়েছেন তিনি।" জানা গিয়েছে ওই মহিলাকে পুলিশের তরফ থেকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 রাখে হরি মারে কে! দামোদরে ভেসে গিয়েও ৪৫ কিমি দূর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা, তখনও ধুকপুক করছে প্রাণ
দামোদরে ডুবে গেল

উত্তরে ভয়াবহ রূপ দেখিয়েছে প্রকৃতি। মৃত্যু হয়েছে একের পর এক মানুষের। প্রাণ হাতে কোনও মতে ফিরেছেন পর্যটকরা। ভেঙেচুড়ে ছাড়খাড় বাড়ি-ঘর। রাস্তা গিয়েছে জলের তলায়। শুধু উত্তর নয়, বাদ যাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গও। ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত দক্ষিণের একের পর এক এলাকা। ফুঁসছে দামোদর। এরই মধ্যে যেন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল। দামোদরে ভেসে গিয়ে ৪৫ কিলোমিটার দূরে জীবিত উদ্ধার ষাটোর্ধ্ব মহিলা। দামোদরের জলে ভেসে গিয়ে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হলেন তিনি।


ঘটনাটি ঘটেছে রায়নার হিজলনা জাকতা গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা মাতুরি টুডু (৬৫)। রবিবার দুপুরে তিনি একাই দামোদর নদে স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় নদীর স্রোত ছিল ভয়ঙ্কর। তাতেই ভেসে যান তিনি।দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকার পর সন্ধেয় মুইদিপুরের কাছে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে ছুটে যান গ্রামবাসীরা।




দেখা যায়, জলে এক মহিলা জীবন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়ছেন। খবর দেওয়া হয় জামালপুর থানায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাতুরি বলেন, “দামোদরে স্নান করতে নেমেছিলাম। হঠাৎ স্রোত বেড়ে যাওয়ায় আমি ভেসে যাই। পরে কিছু ধরে আটকে থাকতে পারি, তখন গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেছে।”

জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন, “বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর পরিচয় জানার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। ভাগ্যজোরেই বেঁচে গিয়েছেন তিনি।” জানা গিয়েছে ওই মহিলাকে পুলিশের তরফ থেকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours