আরেক পর্যটক বললেন, "রাত সাতটা না বাজতে বাজতেই বৃষ্টি আরম্ভ হল। সে প্রকৃতির এক ভয়াবহ রূপ। আমরা ভাবতেও পারিনি, পুজো বেড়াতে এসে এরকম পরিস্থিতির শিকার হব। রাত যত বাড়তে থাকল, বৃষ্টির পরিমাণও ততই বাড়তে থাকল। খাওয়া সেরে আমরা শুয়ে পড়লাম। বাজের আওয়াজে রাত দেড়টায় ঘুম ভেঙে যায়।"

 প্রকৃতির রোষে পাহাড়। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭। জলস্রোতে দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে সেতু-রাস্তা। বৃষ্টি ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পাহাড়ে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার বাঙালি পর্যটকরা। এক পর্যটক বললেন, “আমি যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি, সেটা জয়ন্তী পাহাড়। এখানে সারা রাত প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ড বাজ পড়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের বাকি জায়গাগুলোতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখানে বসেই খবর শুনতে পারছিলাম। এই অভিজ্ঞতা আমার প্রথম। এতটা ভয়াবহতা আগে কখনও হয়নি আমাদের।”


আরেক পর্যটক বললেন, “রাত সাতটা না বাজতে বাজতেই বৃষ্টি আরম্ভ হল। সে প্রকৃতির এক ভয়াবহ রূপ। আমরা ভাবতেও পারিনি, পুজো বেড়াতে এসে এরকম পরিস্থিতির শিকার হব। রাত যত বাড়তে থাকল, বৃষ্টির পরিমাণও ততই বাড়তে থাকল। খাওয়া সেরে আমরা শুয়ে পড়লাম। বাজের আওয়াজে রাত দেড়টায় ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি, চারদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার। লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে। তুমুল বৃষ্টি, সঙ্গে ঘন ঘন বাজ। আকাশ ফাটানো আওয়াজ। বাজের আলো যেন জানালার কাচ ভেদ করে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। সারা রাত ভয়ে ঘুমোতে পারিনি। ভোরের দিকে বাজ পড়াটা কিছুটা হলেও কমে।”




আরেক পর্যটক বলেন, “পাহাড়ের ওপর প্রকৃতির ভয়াবহ রোষ দেখতে পারছি। বুঝতে পারছি না, কবে স্বাভাবিক হবে। আমরা কীভাবে এখান থেকে বাড়ি ফিরব, সেটাই ভাবতে পারছি না।”

সিকিম ভুটানের জলে বিপদ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে। ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই দিনাজপুরেও। একাধিক বাঁধে ফাটল, দ্রুত গতিতে চলছে মেরামতি।

আরেক পর্যটক যাঁদের প্ল্যান ছিল গ্যাংটক যাওয়ার। তিনি বললেন, “আমাদের অনেক দূর প্ল্যান ছিল। এখান থেকে গ্যাংটক যাওয়ার কথা ছিল। ধস নেমেছে রাস্তায়। নদীর জলস্তরও মারাত্মক বেড়েছে। পাহাড়ের জীবন অনেক কঠিন শুনেছি, কিন্তু এরকম পরিস্থিতি তো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি কখনই। সমতলের লোক একথা ভাবতেও পারবেন না।”

কলকাতা থেকেই গিয়েছিলেন এক পর্যটক। তিনি বললেন, “সে আমাদের এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। এতদিন ঘুরেছি, কোনওদিন এই পরিস্থিতি ফেস করিনি। চারদিক ঘন অন্ধকার। আমরা তখন বাইরে ছিলাম। ড্রাইভার অত্যন্ত রিস্ক নিয়ে গাড়িটা চালিয়ে আমাদের গেস্টরুম অবধি পৌঁছে দেন। দার্জিলিঙ যখন ঢুকি, অবস্থা তখন আরও খারাপ। যেরকম বৃষ্টি, সঙ্গে তুমুল বাজ পড়ছে। প্রচুর রাস্তা ভেঙে গিয়েছে।”

দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেছেন, “চালকদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন গাড়ি না বার করেন। পর্যটকদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যে যেখানে হোটেল, গেস্টরুমে রয়েছেন, তাঁরা সেখানেই থাকুন। রোহিনীতে ধস নেমেছে, রাস্তা ঠিক হতে সময় লাগবে। হিলকার্ট রোড কিছুটা হলেও ঠিক রয়েছে, বাকিটা পরিস্কার করা হচ্ছে। পর্যটকরা যাঁরা আসতে চাইছেন, তাঁরা এই রাস্তা দিয়ে আসবেন না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours