অন্যের ক্রিমিনাল রেকর্ডের দায় সরকার কেন নেবে?’, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

 শনিবারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে বৈঠক ছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ,সুপাররা। একই সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সহ সব জেলার জেলাশাসক, সব জেলার পুলিশ সুপাররাও। সংশ্লিষ্ট বৈঠক থেকে জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।



কলকাতা: সরকারি হাসপাতালের ভিতর বারেবারে মহিলাদের নিগ্রহের অভিযোগ। সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য ভবন। শনিবার দুপুরে ছিল সুরক্ষা বৈঠক। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সূত্রের খবর, সেখান থেকে মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘যার নামে ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল, সে কী করে হাসপাতালে ঢুকল এবং তার দায় কেন রাজ্য সরকারের উপর পড়বে ?’

শনিবারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে বৈঠক ছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ,সুপাররা। একই সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সহ সব জেলার জেলাশাসক, সব জেলার পুলিশ সুপাররাও। সংশ্লিষ্ট বৈঠক থেকে জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।



সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন, পুরুষ শৌচাগারে নাবালিকাকে কী করে  নিয়ে যাওয়া হল? কেন সিসিটিভিতে গোটা বিষয়টি ধরা পড়ল না? একই সঙ্গে এ দিনের বৈঠকে প্রশ্ন উঠছে, কেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পুরনো অপরাধের দায় সরকারকে নিতে হবে? বস্তুত, এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনায় যে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে তাঁর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এক নজরে দেখে নিন কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

  • যে সব এজেন্সি থেকে প্রাইভেট সিকিউরিটি নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
  • সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি চালু বা অক্ষত আছে কি না তার জন‍্য মনিটরিং করতে হবে। মাঝে মাঝেই ফায়ারের জন‍্য মক ড্রিল করতে হবে।
  • ওয়ার্ডের ভিতরে বহিরাগতরা ঢুকতে পারবে না।
  • প্রতিদিন ডিউটিতে যোগ দেওয়ার সময় কাদের কাদের ডিউটি থাকছে, সেটা নিয়ে রোস্টার তৈরি করতে হবে।
  • রোল কল করতে হবে।
  • ডিউটি শেষ হওয়ার সময়েও রোল কল করতে হবে।
  • আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্ন করা উচিত, যে ব্যক্তি আগেও অপরাধ করেছে, যার নামে ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে, সে এত সাহস পাচ্ছে কীভাবে? তাঁকে এত সাহস জোগাচ্ছে কে?এই প্রশ্নটা কে তুলবে? আসলে ওঁর প্রশাসন নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। নানা অসাধু চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তিলোত্তমার প্রমাণ লোপাট কারা করেছে?ওই সময় শাস্তি দিলেন না কেন? সেই সময় ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা পরে হয়ত ঘটত না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours