এদিনই আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে আদালতে দেখা করতে আসেন হুমায়ুন কবীর। শুধু আদালতে আসাই নয়, গোটা শুনানি পর্বেই তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তাঁর যদিও দাবি মানবিকতার খাতিরেই তিনি সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশেই গিয়েছিলেন।
জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ! ‘স্ত্রী-শ্বশুরও পরোক্ষভাবে লেনদেনে জড়িত’, জোরাল দাবি ইডির
জীবন কৃষ্ণ সাহা
ইডি আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। জনপ্রতিনিধি হিসাবে ক্ষমতাশালী জীবনকৃষ্ণ, আদালতে জোরাল সওয়াল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের। জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী, শ্বশুরও পরোক্ষভাবে লেনদেনে জড়িত, বলছে ইডি। যদিও জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর দাবি ছিল তাঁর মক্কেল কোনওভাবেই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তাই তাঁকে এবার জামিন দেওয়া হোক। তবে শেষ পর্যন্ত সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর জীবনকৃষ্ণের আবেদন বাতিল করে দেন বিচারক।
একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এদিন শুনানি শুরুতেই জামিনের আবেদনের তীব্র আপত্তি জানাতে দেখা যায় ইডিকে। ইডির দাবি, প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই দুর্নীতির টাকা জীবনকৃষ্ণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্য়াকাউন্টে গিয়েছিল। ফলে তাঁর জামিন হয়ে গেলে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
এদিনই আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে আদালতে দেখা করতে আসেন হুমায়ুন কবীর। শুধু আদালতে আসাই নয়, গোটা শুনানি পর্বেই তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তাঁর যদিও দাবি মানবিকতার খাতিরেই তিনি সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশেই গিয়েছিলেন। বলেন, “জেলে তো কেউ ভাল থাকে না। তাঁর কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, তাঁর শারীরিক খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্যই এসেছি।” কিন্তু দলের অনুমতি কি ছিল? হুমায়ুন যদিও বলছেন, “কারও সঙ্গে কোর্ট লকাপে দেখা করতে গেলে দলের অনুমতি লাগে কিনা এটা প্রথম শুনলাম। আমি বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে ৮২ দিন থেকেছি। অনেকেই রাজনৈতিক সহকর্মী দেখা করেছেন। আমার এখন মনে হয়েছে তাঁর সঙ্গে দেখা করা দরকার। খোঁজ নেওয়া দরকার। তাই আমি এসেছি।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours