নীতি আয়োগের রিপোর্ট তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল ২.২ শতাংশ। সেখানে জাতীয় গড় ৩.২ শতাংশ। ফলে রাজ্যের বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।"
রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলে অভিযোগ তুলে বারবার শাসকদলকে নিশানা করে বিরোধীরা। বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও সরব হয় তারা। এবার নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের ‘সামারি রিপোর্ট ফর দ্য স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’-কে হাতিয়ার করে সোমবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখলেন, “গুরুত্বপূর্ণ আর্থ সামাজিক সূচকগুলিতে, বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলার পদক্ষেপকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে নীতি আয়োগ।”
নীতি আয়োগের রিপোর্ট তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল ২.২ শতাংশ। সেখানে জাতীয় গড় ৩.২ শতাংশ। ফলে রাজ্যের বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।” নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলার আর কী কী ইতিবাচক দিকের কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলিও এক্স হ্যান্ডলে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
জাতীয় গড়ের তুলনায় রাজ্যে স্কুলছুটের হার কম। এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।
গড় আয়ু: ২০২০ সালের হিসেবে রাজ্যে মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর। যা জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।
লিঙ্গ অনুপাত: বাংলায় প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ৯৭৩। সেখানে জাতীয় গড় ৮৮৯।
শিশুমৃত্যুর হার: ২০২০ সালের হিসেবে রাজ্যে প্রতি এক হাজার সদ্যোজাতর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের হিসেব বলছে, মহিলা পিছু সন্তান প্রসবের হার ১.৬। এই দুটি জাতীয় হারের চেয়ে ভাল।
বাংলায় জীবনযাত্রার মানও যে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, সেকথাও নীতি আয়োগের রিপোর্ট লেখা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ের চেয়ে এগিয়ে বাংলা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা। আবার কয়েকদিন আগেই নীতি আয়োগের রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গের ভুল মানচিত্র নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। নীতি আয়োগে চিঠিও পাঠান


Post A Comment:
0 comments so far,add yours