গ্রামবাসী শেখ কুরবান বলেন, "আমাদের বলেছিলাম ড্রেনের ঢাকনা দিয়ে দিতে। রোজ বলে করব, করব কিন্তু করে না। মনে হয় বিল পাস হয়ে গেছে। প্রায় ছ থেকে সাত মাস খোলা আছে। দু'টো ইট লাগিয়েছে। রোড দিয়েই ড্রেনের জল চলে যাচ্ছে। এই নোংরা জলের জন্য মশার উৎপাত বাড়ছে। আমরা সব বুঝতে পারছি টাকা খেয়ে নিয়েছে।"
বুঝতে পারছি খেয়ে ফেলেছে', টয়লেটের পর ড্রেনের ঢাকনা, ফের নাম জড়াল তৃণমূলের
তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
টয়লেট নির্মাণের কয়েক লক্ষ টাকা হজম করে ফেলেছে তৃণমূল। ‘টয়লেট খেয়ে ফেলেছে…।’ বলে সরব হয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনার পর এবার ড্রেনের ঢাকনা খাওয়ার অভিযোগ। অর্থাৎ, ড্রেনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। আর এই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠল একই তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ভুয়ো বিল করে ড্রেনের ঢাকনার নামে মোটা টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। অভিযোগ বিডিওর কাছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মালদার মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপতী মণ্ডল। যাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এনায়েতপুর হাইস্কুলে টয়লেট করার নামে ভুয়ো বিল, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টয়লেট করার সব টাকাই আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
এই মর্মে শুক্রবার এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামবাসীদের একাংশের পক্ষ থেকে মানিকচক বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এই বিষয়ে এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতী মণ্ডল মজুমদারকে ধরা হলে তিনি দাবি করেন, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, “যতটা কাজ ছিল সেই অনুযায়ী বিল হয়েছে। ওইখানে সংস্কার হয়েছে। যা যা অভিযোগ সব মিথ্যে। এখানে কোনও গাফিলতি হয়নি।”
শেখ আলিমুর, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বলেন, “সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। সেটা হয়েছে। আর সংস্কার সুষ্ঠভাবে না হলে তো ঢাকনা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। ঢাকনা লাগানোর আগে সংস্কারের দরকার ছিল। যা পরিমাণ টাকা ছিল তা সংস্কার করতে গিয়েই হয়ে গেছে। আমাদের মনে হয়েছে ঢাকনা দেওয়ার আগে সংস্কারের দরকার।”
গ্রামবাসী শেখ কুরবান বলেন, “আমাদের বলেছিলাম ড্রেনের ঢাকনা দিয়ে দিতে। রোজ বলে করব, করব কিন্তু করে না। মনে হয় বিল পাস হয়ে গেছে। প্রায় ছ থেকে সাত মাস খোলা আছে। দু’টো ইট লাগিয়েছে। রোড দিয়েই ড্রেনের জল চলে যাচ্ছে। এই নোংরা জলের জন্য মশার উৎপাত বাড়ছে। আমরা সব বুঝতে পারছি টাকা খেয়ে নিয়েছে।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours