দিল্লির অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকার পাশেই রয়েছে জয়হিন্দ কলোনি। সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি বাংলার কোচবিহারে। জয়হিন্দ কলোনির বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে সরব হয় তৃণমূল। ওই কলোনির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।


স্থগিতাদেশ দিল আদালত, দিল্লিতে তৃণমূলের বড় জয়?
জয়হিন্দ কলোনির বাংলাভাষীদের নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা


দিল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে টুইট করে এ কথা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। আদালতের এই নির্দেশকে তাদের লড়াইয়ের বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী ভারতীয়দের হেনস্থার বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।


দিল্লির অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকার পাশেই রয়েছে জয়হিন্দ কলোনি। সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি বাংলার কোচবিহারে। জয়হিন্দ কলোনির বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে সরব হয় তৃণমূল। ওই কলোনির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।



বাবা বলছিল খুব পায়ে ব্যথা হচ্ছে, হাসপাতালে নিয়ে আসতেই ইঞ্জেকশন দিল, শরীর পুরো শক্ত হয়ে গেল, আর তারপর...'
উত্তমের মৃতদেহের গলায় মালা পরালেন সুচিত্রা! পাশ থেকে কী বললেন গৌরীদেবী?
মৃত্যুর ঠিক আগে উত্তমকুমার বার বার একটাই কথা বলেছিলেন চিকিৎসককে, জানেন কি সেই কথা?
তৃণমূলের প্রতিনিধিরা জয়হিন্দ কলোনিতে গিয়ে সেখানকার বাংলাভাষীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন এবং সাকেত গোখলে। সেখানকার বাংলাভাষীদের নিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য ধরনায়ও বসেছিলেন তাঁরা।

জয়হিন্দ কলোনিতে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, কয়েকমাস আগে দিল্লি পুলিশ ওই কলোনিতে বসবাসকারী সবার পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখেছিল। তখন কোনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা পাওয়া যায়নি।

পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশকে তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল লিখেছে, ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ে এটা বড় পদক্ষেপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলাভাষী ভারতীয়দের ন্যায়ের জন্য তৃণমূলের লড়াই পুরোদমে চলবে বলে বাংলার শাসকদল জানিয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকেও কটাক্ষ করে তারা। আদালতের নির্দেশের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন সাগরিক ঘোষও। তিনি লেখেন, প্রত্যেক বাংলাভাষী ভারতীয়র ন্যায়ের জন্য তৃণমূলের এই লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ এই স্থগিতাদেশ। বাংলা ও বাংলাভাষীদের ‘টার্গেট’ করে কেন্দ্র ও বিজেপি সফল হবে না বলে তিনি লেখেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours