এছাড়াও লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব এই বিকল্প সড়কের হাত ধরে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার কমে যাবে বলেই জানা গিয়েছে। যা দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষ করে লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চিনের নিয়ন্ত্রণরেখার অদূরেই 'বিকল্প পথ' তৈরি করছে ভারত, দু'দিনের যাত্রা মিটবে ১২ ঘণ্টায়
চিন সীমানার অনতিদূর ভারতের সড়ক। বেজিংয়ের মুখ বন্ধ করতে আসরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি দৌলত বেগ ওল্ডি বা ডিবিও। লাদাখের এই বিমানঘাঁটি অস্ত্র, সরঞ্জাম ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছতে ভালই বেগ পেতে সেনাকে। এবার সেই সমস্যার সমাধানে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে অদূরেই তৈরি হচ্ছে সেই পথ।
নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখের গাপশান ক্যাম্প হয়েছে সরাসরি ডিবিও-তে ঢুকবে এই নতুন বিকল্প সড়ক পথটি। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার হবে বলেই ধারণা। সাধারণত গোটা দেশ ও সীমান্তবর্তী এলাকা সড়ক নির্মাণের কাজ এক রকম ভাবে হয় না। গোটা দেশে কেন্দ্র যে রাস্তা তৈরি করে তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক। কিন্ত সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ করে থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন।
'মমতার মায়ের হাতে চা খেয়েছি...', শহিদ সভায় কেন যান না? বললেন বুদ্ধবাবুর পুলিশের হাতে গুলি খাওয়া দীপক
ওষুধ-খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মমতাই, ২১-এর মঞ্চ থেকে ফিরে যা জানালেন বিতানের বাবা-মা
'মার্কিন প্রেসিডেন্ট কন্ট্রোল করছে', একুশের মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক দাবি মমতার
লাদাখের এই নতুন সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও গিয়েছে তাদের কাঁধেই। ২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে গালোয়ান সংঘর্ষের আবহে এই নির্মাণ কাজ শুরু করে বিআরও। যার জেরে ডিবিও বিমানঘাঁটি, যেখানে আগে যেতে সময় লাগত প্রায় দু’দিন। সেখানে এখন তা লাগবে মাত্র ১২ ঘণ্টা। এছাড়াও লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব এই বিকল্প সড়কের হাত ধরে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার কমে যাবে বলেই জানা গিয়েছে। যা দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষ করে লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কবে সম্পূর্ণ হবে এই সড়ক নির্মাণের কাজ? ২০২০ সাল থেকেই এই বিকল্প পথ তৈরির কাজ ধীরে ধীরে শুরু করে কেন্দ্র। কিন্তু এটা তৈরি করা মোটেই সহজ ছিল না। এখনও পর্যন্ত একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ মাস লাদাখে অতিরিক্ত বরফ পড়ার কারণে এই নির্মাণ কাজ প্রায় বন্ধ থাকে বললেই চলে। অক্সিজেনের অভাব, বরফের কারণে অন্যান্য অসুবিধা, সব মিলিয়ে কাজ চালানো প্রচণ্ড কঠিন হয়ে ওঠে। কিন্তু এই সকল বাধা পেরিয়ে এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে বিকল্প পথটি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তরফে জানা গিয়েছে, সম্ভবত আগামী বছরে এই সড়ক পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে যাবে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours