সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এদিন নন্দীগ্রামে কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বৃষ্টিতে ভিজেই হয় সেই মিছিল। মিছিল শেষে নাম না করে শমীকের কথার জবাব দিলেন তিনি। টেনে আনলেন ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে তাঁর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর প্রসঙ্গ।
তিনি কি সবার ভোট চান না? জবাব দিলেন শুভেন্দু
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে অবিজেপি সমর্থকদের ভোটও দরকার। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। এদিকে, গত কয়েকমাসে রাজ্যে হিন্দু ভোটকে একজোট করতে উদ্যোগী হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বারবার তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, আর ৫-৬ শতাংশ হিন্দু বিজেপিকে ভোট দিলেই রাজ্যে তাঁরা সরকার গঠন করবেন। রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতির উদ্যোগের পর কী বলছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা? সোমবার নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে শমীকের নাম না নিয়েই তিনি উত্তর দিলেন। কী বললেন শুভেন্দু?
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এদিন নন্দীগ্রামে কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বৃষ্টিতে ভিজেই হয় সেই মিছিল। মিছিল শেষে নাম না করে শমীকের কথার জবাব দিলেন তিনি। টেনে আনলেন ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে তাঁর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর প্রসঙ্গ। শুভেন্দু বললেন, “হিন্দুরা আমাকে বিধায়ক করেছেন, না হলে জিততে পারতাম নাকি। ১ লক্ষ ১০ হাজারের (তাঁর প্রাপ্ত ভোট) মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬০০ হিন্দুর ভোট পেয়েছি।”
রোম্যান্টিক সিনে রূপাঞ্জনার গালে হাত বোলাতে গিয়ে নাজেহাল ভাস্কর, কী ঘটেছিল?
গ্রামের যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বৌমা, প্রতিবাদ করতেই শ্বশুরকে...
মুম্বই ছাড়লেন পৃথ্বী শ, ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্য দলে লক্ষ্য প্রত্যাবর্তন
একটি এলাকায় ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একুশের নির্বাচনে ওই এলাকায় ৮০০টি ভোটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৭৯০টি ভোট। বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৮টি ভোট। আর শুভেন্দু পেয়েছিলেন ২টি ভোট।”
তবে তিনি কি অন্যদের ভোট চান না? বিরোধী দলনেতার স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি যে অন্যদের ভোট চাই না, তা নয়। পাই না। এটা কঠিন বাস্তব।” ছাব্বিশের নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদল হবে বলে প্রত্যয়ী তিনি। বললেন, “২০২১ সালে নন্দীগ্রাম যা দেখিয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলা তা দেখাবে।” নন্দীগ্রামে সাম্প্রতিক একাধিক সমবায় নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুটি ব্লকের ২১টি সমবায়ের মধ্যে ১৬টায় নির্বাচনে জিতেছি। আর ২টি সমবায়ে তৃণমূল মনোনয়নই দেয়নি। ফলে একুশটি সমবায়ের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছি।”
তৃণমূল বিরোধী ভোটকে একত্রিত করতে সচেষ্ট হয়েছেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি। ২ দিন আগেও শমীক বলেছেন, “যাঁরা নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান দিয়েছিলেন, তাঁরা মুখোশের আড়ালের নয়, মুখোমুখি লড়াই করুন। বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথে নেমে হাঁটুন। তাঁদের যাঁরা অনুগামী রয়েছেন, তাঁদের বলছি, ভোট কেটে চতুর্থবারের জন্য তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনবেন না। তাহলে এই পশ্চিমবঙ্গ আর পশ্চিমবঙ্গ থাকবে না।” সেখানে শুভেন্দু বলছেন, তিনিও সবার ভোট চান, তবে পান না। বিরোধী দলনেতার আরও স্পষ্ট বক্তব্য, “যা বলি ভেবে বলি, আর যা বলি তা করি।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours