এইসব ওষুধ দেখেই চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ থাকা সত্বেও রোগীদের ওষুধ না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হত এবং পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন অনেক ওষুধ।
ওষুধ জোটেনা অথচ...!' বাথরুমের চেম্বারে ফেলে দেওয়া গাদা গাদা ওষুধ দেখে রেগে-আগুন গ্রামবাসীরা
ফেলে দেওয়া ওষুধ
নষ্ট হচ্ছে গাদা গাদা ওষুধ। অথচ চেয়েও সেই ওষুধ পাননা গ্রামের সাধারণ মানুষ। চিকিৎসা পরিষেবা নিতে গেলেই বলে দেওয়া হয় ‘ওষুধ নেই’। এমনই অভিযোগ উঠল হুগলির তারকেশ্বরে। গ্রামবাসীদের কথায়, ‘রোগীদের সঙ্গে গরু-ছাগলের মতো ব্যবহার করা হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে।’ ফেলে দেওয়া ওষুধ দেখে তাই রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাইটা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের একই অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাইটা গ্রামে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গত দুবছর ধরে পাওয়া যায় না কোনও ওষুধ, সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা, এমনকী স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। অভিযোগ, ওগুলো আসলে নামেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র! চলে শুধু আড্ডা আর গল্প।
স্ত্রী-দুই সন্তানকে নিয়ে হন্যে হয়ে স্টেশনে ঘুরছিলেন ব্যক্তি, একটা ভুলের জন্য বিরাট ক্ষতি...এখন রেলকে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা!
পহেলগাঁও হয়ে অমরনাথ যাওয়ার পথে বড় বিপদের সম্মুখীন পুণ্যার্থীরা, ছুটে গেল পুলিশ
হাত ছিল ১৩ হাজার ৫০০ কোটির PNB প্রতারণায়, এবার গ্রেফতার নীরব মোদীর ভাই
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল আধিকারিকদের। তার আগেই গ্রামের মানুষের কাছে বেরিয়ে পড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কঙ্কালসার চেহারা!
এলাকায় দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা বস্তা বস্তা ওষুধ ফেলে দেওয়া হচ্ছে পুকুরপাড়ে, এমনকী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেম্বারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গাদা গাদা ওষুধ তারা মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। এমনকী মেয়াদ ফুরোয়নি এমন ওষুধও ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরপাড়ে ও বাথরুমের চেম্বারে।
এইসব ওষুধ দেখেই চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ থাকা সত্বেও রোগীদের ওষুধ না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হত এবং পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন অনেক ওষুধ।
তাঁদের দাবি যারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হোক এবং পরিষেবা উন্নত মানের করা হোক। যদিও তারকেশ্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস দাবি করেছেন সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে, যা সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, তবে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে দাবি করেছেন তিনি। মেয়াদ আছে এমন অনেক ওষুধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেম্বারে কি সত্যিই পড়ে আছে? যে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours