প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা সন্দেহ করছিলেন, হামলাকারীরা যদি স্থানীয় ভাবে লজিস্টিক সাপোর্ট বা শেল্টার না পেত, তাহলে এই ধরনের হামলা করতে পারত না। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাদের খোঁজ চালাচ্ছিল তদন্তকারীরা।
৩ জঙ্গির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল, পহেলগাঁওকাণ্ডে NIA-এর জালে ২ আশ্রয়দাতা
বৈসরণের সেই রিসর্ট (ছবি সংগৃহীত)
জম্মু ও কাশ্মীর: পহেলগাঁও হামলার দু’মাসের মাথায় বড় ব্রেক থ্রু! হামলাকারী জঙ্গিদের ২ আশ্রয়দাতার সন্ধান পেয়েছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম পারভেজ আহমেদ জোঠার ও বসির আহমেদ জোঠার। দু’জনেই পহেলগাঁও এলাকারই বাসিন্দা।
প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা সন্দেহ করছিলেন, হামলাকারীরা যদি স্থানীয় ভাবে লজিস্টিক সাপোর্ট বা শেল্টার না পেত, তাহলে এই ধরনের হামলা করতে পারত না। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাদের খোঁজ চালাচ্ছিল তদন্তকারীরা। আগেই জানা গিয়েছে, ঘটনার অন্তত কয়েকদিন আগেই হামলাকারীরা এসেছিল। এলাকা থেকেই রেইকি করেছিল তারা। ধৃতরা দুজনেই বাটকোট ও হিল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। যেটা পহেলগাঁওয়েরই আউটকার্ট বলা যেতে পারে।
এটিও পড়ুন
কয়েক দিনের মাথায় হচ্ছে ভূমিকম্প! মাটির তলায় ইজরায়েল-ধ্বংসের অস্ত্রতে শান দিচ্ছে ইরান? তুঙ্গে জল্পনা
NCW: ক্যানিংয়ে নাবালিকার মৃত্যুতে এবার স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ জাতীয় মহিলা কমিশনের, সোমবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন অর্চনা মজুমদার
শুটিং ফ্লোরে দুর্ঘটনার মুখে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া! ঠিক আছেন তো অভিনেত্রী?
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, তারা এলাকায় স্থানীয় ব্যবসা করত। মরশুম ভিত্তিক যে ছাউনিগুলো পাহাড়ের গায়ে তৈরি হয়, যেখানে মূলত মেষপালকরাই থাকে, যেগুলোকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ঢোক, সেখানেই জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বসিররা। তাদের থাকা-খাওয়াদাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা করেছিল। তারপর হামলার পর তাদের পালানোরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর।
দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ-এর হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হামলাকারী অধরা তিন জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে, ওই তিন জনই লস্কর ই তৈবার সদস্য। তিনজনই পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই ওই এলাকার ২০০-৩০০ জন ব্যবসায়ী, দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপরই ইন্টেলিজেন্স টিম তথ্য সংগ্রহ করে এই দুজনকে গ্রেফতার করে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours