বিজয় রুপাণীর ছেলে পুজিতের মৃত্যুও এক দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণী ও তাঁর অঞ্জলি দেবী মিলে একটি ট্রাস্ট খোলেন, যা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলা ও শিশুদের নানাভাবে সহায়তা করত।


বিপদ ডেকে আনল লাকি '১২০৬', অভিশপ্ত বিমানে তো যাওয়ার কথাই ছিল না রুপাণীর!
বিজয় রুপাণী।

একজন বাদে কেউ বাঁচেনি। আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০০-রও বেশি মানুষের। এখনও পর্যন্ত ২৬৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই অভিশপ্ত বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীও। তবে অদ্ভুত বিষয় হল, যে নম্বরকে আজীবন লাকি বলে মনে করেছিলেন বিজয় রুপাণী, সেই লাকি নম্বরই কেড়ে নিল তাঁকে।


১২০৬- গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, এই সংখ্যাটি ‘লাকি’ তাঁর জন্য। কর্মজীবনের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত এই নম্বরটিই তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল কোনও না কোনওভাবে। বিজয় রুপাণীর প্রথম যে স্কুটারটি ছিল, তাঁর নম্বর ছিল ১২০৬। এরপরে যে অ্যাক্টিভা গাড়ি কেনেন, তাঁর নম্বর প্লেটেও এই নম্বরই ছিল। এমনকী, বাড়িরও ঠিকানা ১২০৬। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন, তার নম্বর প্লেটেও ১২০৬ লেখা ছিল।

ভাগ্যের এমনই খেল, বিজয় রুপাণীর গতকাল, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাওয়ার কথাই ছিল না। গত ৫ জুন লন্ডনে স্ত্রী-মেয়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু লুধিয়ানা পশ্চিমের উপনির্বাচন নিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকায় ভ্রমণের প্ল্যান পিছিয়ে দেন তিনি।

১২০৬ যেহেতু লাকি নম্বর, তাই ১২ জুন, যা সংখ্যায় লিখতে গেলে ১২.০৬ হয়, তাই গতকালের বিমানের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। সেই বিমানই মৃত্যু ডেকে আনল তাঁর। রুপাণীর বাড়ির বাইরে এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁর গাড়ি। সেখানে জ্বলজ্বল করছে ১২০৬ নম্বরটি।

বিজয় রুপাণীর ছেলে পুজিতের মৃত্যুও এক দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণী ও তাঁর অঞ্জলি দেবী মিলে একটি ট্রাস্ট খোলেন, যা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলা ও শিশুদের নানাভাবে সহায়তা করত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours