বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কাশেম সিদ্দিকীকে দলের পদে বসিয়ে কি ফুরফুরা শরিফকে কোনও বার্তা দিল তৃণমূল? বিধানসভা নির্বাচনে কাশেমকে প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলে বড় পদ পীরজাদা কাশেমকে, ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে নতুন রসায়ন শাসকদলের?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে কাশেম সিদ্দিকী (ফাইল ফোটো)
ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি নতুন তাস পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী? গত কয়েকমাস ধরেই এই নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। সেই জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের শাসকদল। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক করা হল। এদিন ঘাসফুল শিবির প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সংগঠনের সহসভাপতি ঘোষণা করা হল।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী এখন ভাঙড়ের বিধায়ক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) তৈরি করেন। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ISF-র টিকিটে একুশের নির্বাচনে ভাঙড়ে লড়েছিলেন নওশাদ। এরপর বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের দূরত্ব বাড়ে।
গত মার্চে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন না ফুরফুরার দুই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ও নওশাদ সিদ্দিকী। অনেক পীরজাদাকেই সেদিন দেখা যায়নি। তবে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল কাশেমকে। পরদিন কলকাতার পার্ক সার্কাসে ইফতারে মমতার পাশে ফের তাঁকে দেখা যায়। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি এবার নেতৃত্ব দেবেন কাশেম সিদ্দিকী?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours