ইজরায়েল প্রথমে এই নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিল। খোদ ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, গ্রেটাদের কোনওভাবেই গাজার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেওয়া হবে না।
ট্রেনিংপ্রাপ্ত তিমিরাই সেদিন খবর দিল ইজরায়েলি সেনাকে! গাজায় যাওয়ার পথে যা ঘটল...
জাহাজে স্যাটেলাইট ফোন ছাড়া আর কোনও কোনও কমিউনিকেশন ডিভাইস ছিল না। জাহাজে সব সওয়ারির ইন্টারনেট এবং ফোনও অফ করা ছিল। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ কোনওভাবেই যাতে জাহাজের নাগাল না পায়, তার জন্য এত কিছু! কিন্তু শেষরক্ষা আর হল কই। ইজরায়েলের জলসীমা থেকে অনেকটা দূরে, মেডলিনের অবস্থান জেনে যায় আইডিএফের নৌবাহিনী।
মোটামুটি ৪০ মিনিটের নাটকীয় অভিযান। গ্রেটা থুনবার্গদের নিয়ে জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে তেল আভিভের পথে রওনা হয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলি ফৌজ তাঁদের জাহাজের খুব কাছে চলে এসেছে বুঝতে পেরে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা পাঠান গ্রেটা এবং জাহাজের আর এক সওয়ারি তথা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য রীমা হাসান।
আইডিএফ যাতে তাঁদের জাহাজে উঠতে না পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই বার্তায় গ্রেটা থুনবার্গ অভিযোগে করেন, তাঁদের জীবন বিপন্ন। ইজরায়েলি ফৌজ তাঁদের জাহাজে হামলা চালাতে পারে। যদিও আইডিএফ দাবি করছে, জাহাজের হামলার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। সেই জন্যই বারবার গ্রেটাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাহাজের দখল নেওয়ার পর গ্রেটাদের ছবিও পোস্ট করে আইডিএফ।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে একতরফা যুদ্ধ চলছে। ওখানে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না আইডিএফ। খাবার ও দুধ আটকে দেওয়ায় গাজার হাজার হাজার শিশু মৃত্যুর মুখে। এমনই আটটি অভিযোগ তুলে জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা হয়েছিলেন গ্রেটা সহ মোট ৮ জন সমাজকর্মী। তাঁরা দাবি করেছিলেন, গাজার শিশুদের ত্রাণ এবং চিকিত্সা সরঞ্জাম দিতেই তাঁদের গাজা অভিযান। কিন্তু ইজরায়েল প্রথমে এই নিয়ে কড়া অবস্থান নেয়। খোদ ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, গ্রেটাদের কোনওভাবেই গাজার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেওয়া হবে না।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, গাজায় ত্রাণ কিংবা খাবারের অভাব নেই। রাষ্ট্রসংঘের অফিস থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ হচ্ছে। হাসপাতালগুলিও চালু রয়েছে। গ্রেটাদের সামনে রেখে গাজায় অশান্তি বাঁধাতে এইসব ফন্দিফিকির চলছে বলেও দাবি করেন তিনি। নেতানিহুয়ার নির্দেশ ছিল, মেডিলিন জাহাজকে ইজরায়েলের জলসীমার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেওয়া যাবে না। সোমবার ভোর পর্যন্ত আইডিএফ গ্রেটাদের জাহাজের নাগালই পায়নি। জাহাজে কোনও কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার না করেই এগোচ্ছিল মেডলিন।
দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল পত্রিকার দাবি, আইডিএফের মুশকিল আসান হয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত একদল তিমি। যারা কিনা আইডিএফের নাভাল ফোর্সেরই সদস্য। এই তিমির দলকে কাজে লাগিয়েই গ্রেটাদের জাহাজের অবস্থান জানতে পারে আইডিএফ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours