সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বৈঠকে কেন্দ্রে তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যে কোনও সময় বড় সঙ্কটা নামতে পারে রাজ্যের উপর।


'৭ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি সেরে নিন', বাংলাকে সরাসরি বলে দিল কেন্দ্র, কেন?
মা ফ্লাই ওভার


বুধবার (৭ মে) গোটা দেশে মহড়া। আর এই মহড়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য। এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক একাধিক রাজ্যের। তার মধ্যে ছিল বাংলাও। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বৈঠকে কেন্দ্রে তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যে কোনও সময় বড় সঙ্কটা নামতে পারে রাজ্যের উপর। তাই রাজ্যকে এই পরিস্থিতিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

রাজ্যকে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে?

সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি কোনও ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে উদ্ধারকাজ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই কারণে আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে রাজ্যকে। অর্থাৎ মকড্রিল করে দেখতে হবে।


বাংলায় কত সাইরেন আছে?

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাংলায় রয়েছে একাধিক সাইরেন। শুধু শহর কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫টি। তবে এর বড় অংশ দীর্ঘদিন অবব্যবহারের ফলে অকেজ হয়ে রয়েছে। সেগুলিকে দ্রুত সারিয়ে কার্যকরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই কুড়ি থেকে পঁচিশটি সাইরেন রয়েছে। তার মধ্যে প্রত্যেক জেলার হেড কোয়াটারে একটি সাইরেন রয়েছে।

বাংলায় কত স্যাটেলাইট রয়েছে?

সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাজ্যের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবে এয়ারফোর্স। এয়ারফোর্সের মাধ্যমেই খবর আসবে সিভিল ডিফেন্সের কাছে। এরপর সিভিল ডিফেন্স থেকে অন্যান্য সর্বত্র সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম

কেন্দ্রের তরফে প্রত্যেক জেলায় কন্ট্রোল রুম তৈরির কথা বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই সেগুলি চলবে। তবে বর্ষার কথা মাথায় রেখে মে মাস থেকেই রাজ্যে এই ধরনের কন্ট্রোলরুম চালু হয়ে যায়। আপাতত সেগুলিকেই যুদ্ধ হলে উদ্ধার কাজ ও বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে।

নবান্ন সূত্রে খবর আপাতত রাজ্যের হাতে রয়েছে সাত দিন। সেখানে পরিকাঠামোগত খামতি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমস্তই জোগাড় করতে হবে রাজ্যকে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনডিআর এফে-এর ডিজি। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রাজেশ সিনহা, ডিজি সিভিল ডিফেন্স জগমোহন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours