রবিবার সেনার বৈঠকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় নৌসেনার ভূমিকা স্পষ্ট করলেন খোদ ডিরেক্টর জেনারেল অব নভাল অপারেশন এ এন প্রমোদ। তিনি বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল।
নাকের ডগায় করাচি, পাকিস্তানের জন্য যেভাবে 'সাগরে ফাঁদ' পেতেছিল ভারত
প্রতীকী ছবি
নৌসেনা যে প্রস্তুত পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই সেই বার্তা দিয়েছিল তারা। এমনকি, ভারতীয় বায়ুসেনা যখন বুধবার পাকিস্তানে ঢুকে নষ্ট করেছে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। সেই সময় আরব সাগরে টহল দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। ঘিরে রেখেছে গোটা দেশকে।
রবিবার সেনার বৈঠকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় নৌসেনার ভূমিকা স্পষ্ট করলেন খোদ ডিরেক্টর জেনারেল অব নভাল অপারেশন এ এন প্রমোদ। তিনি বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই সেনা কর্তা জানান, ‘ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে সংঘর্ষের জন্য সর্বক্ষণ প্রস্তুত ছিল। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পরই আরব সাগরে একাধিক যুদ্ধতরী নামিয়ে দেওয়া হয় নৌসেনার তরফে। এই সময়কালে আমরা আমাদের প্রস্তুতি দেখাতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি করাচি-সহ যে কোনও এলাকাও হামলার জন্যও আমরা প্রস্তুত ছিলাম।’
নৌসেনা যে সর্বক্ষণ অন্যান্য বিভাগের সেনাদের পিছন থেকে মদত জুগিয়ে গিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নৌসেনার এই কৌশল আজকের নয়। যখন যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। ঠিক সেই সময়গুলোতেই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য আরব সাগরে একাধিক যুদ্ধতরী নামিয়েছে নৌসেনা।
এই প্রসঙ্গে নৌসেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, ‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানি নৌসেনা কখন, কী করছে, এই প্রতিটি বিষয় সর্বক্ষণ নিজেদের নখদর্পণে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনা। বিপদ বুঝলেই ঝাঁপিয়ে পড়তাম আমরা।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours