তথ্য বলছে, স্মল হেল্প গ্রুপ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোটা তালিকার মধ্যে মাত্র ১.১৮ শতাংশ ঋণ মেটায়নি। বাকি সমস্ত মহিলাই তাঁদের নিজস্ব গোষ্ঠীর মাধ্যমে নেওয়া ঋণের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।


 ‘নো ডিউ’, ঋণ মিটিয়ে গোটা দেশকে স্বনির্ভরতার পাঠে এক নম্বরে বাংলার মেয়েরা
বড় সাফল্য বাংলার

ওদের আয় খুবই সামান্য। রাজ্যের টাকায় স্বনির্ভর হতে চাইছেন ঋণ নিয়ে। ব্যবসা থেকে সামান্য যে আয় হচ্ছে তা দিয়েই মেটাচ্ছেন ঋণের কিস্তি। ১৫ মে পঞ্চায়েত দফতরের প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের টাকা ফেরানোয় এ রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। পঞ্চায়েত দফতরের নিজস্ব হিসাব বলছে, ওই স্বল্প আয়ের পরেও ঋণ মেটাতে তাঁরা কোনও কার্পন্য করছেন না। যার ফলে গোটা দেশের মধ্যে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের মেয়েরা প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে। 

তথ্য বলছে, স্মল হেল্প গ্রুপ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোটা তালিকার মধ্যে মাত্র ১.১৮ শতাংশ ঋণ মেটায়নি। বাকি সমস্ত মহিলাই তাঁদের নিজস্ব গোষ্ঠীর মাধ্যমে নেওয়া ঋণের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাতেই উচ্ছ্বসিত প্রশাসনের কর্তারাও। যেভাবে সংসার সামলে ছোটখাটো ব্যবসা করে হাল ধরছেন গ্রামের মহিলারা আগামীতে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় ছাপ রাখতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

কীভাবে কাজ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী? 

প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৈরি হয়েছে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠী। যে সমস্ত মহিলারা অন্য কোনও চাকরি করছেন তাঁরা ওই গ্রুপের সদস্য হতে পারে। গোষ্ঠীর হাত ধরে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। সেই টাকায় করতে পারেন ব্যবসা। অনেকেই আবার নানা ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও টাকা পেতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তা শোধ করে দিতে হয়। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours