Virat Kohli, one of the greatest stars in world cricket. Virat Kohli is a worthy successor to Sachin. Virat Kohli is a great hero standing on the mountain of records.


ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট ধাক্কা, টেস্টে অবসর ঘোষণা কোহলির
বিরাট কোহলি।





কলকাতা: ২০১৩ সালের এক নভেম্বরে তুলে রেখেছিলেন ব্যাট! তাঁর রেখে জুতো, জামা, প্যান্ট কি আর কেউ পরবেন কখনও? অপেক্ষা করতে হয় ক্রিকেট দুনিয়াকে। সচিন তেন্ডুলকরের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অবসর নিয়েছিলেন সচিন, সেই ক্যারিবিয়ান টিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে টেস্টে পা রেখেছিলেন তিনি। সচিন তখনও ভারতীয় টিমে। সচিন যেতেই হয়ে উঠেছিলেন আর এক ‘সচিন’! সেই রোমাঞ্চকর ব্যাটিং। হেলায় করা সেঞ্চুরি। যে কোনও প্রতিপক্ষকে মাঠের বাইরে ফেলা। সচিতজাত প্রতিভা না থাকলে হয়। সেই বিরাট কোহলি আচমকাই অবসর ঘোষণা করে দিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। ১৪ বছর আগে জুন মাসের ২০ তারিখ যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাই থেমে গেল আজ।

৩৬ বছর বয়স। ঝুলিতে ১২৩টা টেস্ট। ৩০টা সেঞ্চুরি, ৩১টা হাফসেঞ্চুরি। গড় ৪৮.৭। একঝলকে বিরাটের এ হেন সাফল্য কি প্রশ্ন তুলবে? কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু গত বছর দেড়েকের পারফরম্যান্স প্রশ্ন উঠেছে। সেঞ্চুরির ধারাবাহিকতা নেই আগের মতো। লাল বলে সে ভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না নিজেকে। বল নড়লে বিপদে পড়ছেন। বারবার ধরা দিচ্ছেন স্লিপে। সেই কারণেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন বিরাট। অর্থাৎ গত অস্ট্রেলিয়া সফরই হয়ে গেল তাঁর কেরিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ। ১৯০ এসেছিল ৫ টেস্টের সিরিজ থেকে। প্রথম টেস্টেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। বাকি চার টেস্টে করেছেন মাত্র ৮৫ রান।

ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগে বিরাটের অবসর ঘোষণা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন কয়েক দিন আগে। তারপর থেকেই বেড়েছিল গুঞ্জন। বিরাটও হয়তো হাঁটতে পারেন সেই পথে। তিনিও হয়তো অবসর নিয়ে নিতে পারেন। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ইংল্যান্ড সফরে বিরাট খেলবেন, সেই রকমই শোনা গিয়েছিল। তা হলে কেন অবসর? একটা যুক্তি কাজ করছে। ইংল্যান্ড সফর থেকে নতুন টেস্ট সাইকেল শুরু হবে। পরের তিনটে বছরের জন্য নতুন কাউকে নেতা হিসেবে চাইছিল বোর্ড। আসলে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নতুন দল তৈরি করতে চাইছেন গৌতম গম্ভীর। সেই কারণেই সরে দাঁড়ালেন বিরাট। তাও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ৩৬ বছরের বিরাট আরও দুটো-তিনটে বছর টেস্টে খেলতেই পারতেন। রোহিতের মতোই ওয়ান ডে খেলবেন তিনি। ধরা যেতে পারে, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপটাতে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।

ক্যাপ্টেন হিসেবে ৬৮টা টেস্টের মধ্যে ৪০টাতে জয়। অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে পর পর দু’বার হারানো। তাঁর আগ্রাসী নেতৃত্ব জন্ম দিয়েছিল এক নতুন ভারতের। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেট নিয়ে যতবার আলোচনা হবে, চর্চায় থাকবেন বিরাট কোহলি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours