রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু। আর তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা। এরই মধ্যে সামনে এসেছে, মৃত্যুর আগের দিন বাড়িতে পার্টি করেছিলেন প্রীতম।

সঙ্গে ছিলেন তাঁর অফিস সহকর্মীরা। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলাও। বুধবার সকালে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ‘আমি ঝুমা’ নামে এক ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্ট শেয়ার করেন। জানা যাচ্ছে, ‘আমি ঝুমা’ ওরফে ঝুমা ঘোষ রিঙ্কু মজুমদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেই পোস্টের সূত্রেই উঠে আসে, সম্পর্কের জটিলতার একটি তত্ত্ব। যদিও সেই তত্ত্বের ভিত্তিতে পাল্টা রিঙ্কু মজুমদার কিংবা দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।



‘আমি ঝুমা’ নামে ওই প্রোফাইলে দাবি করা হয়, প্রীতম আইটি সেক্টরে কর্মরত এক মহিলার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। সে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এবং ওই মহিলা তাঁকে আর্থিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করেছেন ঝুমা ঘোষ। এমনকি তিনি পোস্টে এও দাবি করেছেন, রিঙ্কু মজুমদার ওই তরুণীকে তাঁর ছেলেকে বিয়ে করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু ওই তরুণী তাঁর ছেলেকে বিয়ে করার ব্যাপারে এখনই রাজি ছিলেন না। ওই তরুণী রিঙ্কুর ছেলের ওপর অত্যাচার চালাতেন বলেও অভিযোগ করেছেন।


প্রীতমের অনেক মানিসক যন্ত্রণার কথা নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন ঝুমা ঘোষ। এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে ঝুমা ঘোষ জানিয়েছেন, ওই মহিলার নাম সৃজনী। ঝুমার দাবি, সৃজনী মঙ্গলবার সারাটা দিন রিঙ্কুর পাশে ছিলেন।


প্রীতমের মৃত্যুর কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রীতমের স্নায়ুর সমস্যা ছিল। তিনি একাধিক ওষুধ খেতেন। ড্রাগ ওভারডোজেজের একটি কারণ উঠে এসেছে।


এই মহিলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ছেলের বান্ধবীর কাছ থেকে মঙ্গলবার সকালে ফোন পেয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে যান। ছেলের মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন রিঙ্কু, মঙ্গলবারই বলেছিলেন, ‘‘আমার বিয়ের পর ও ‘আপসেট’ থাকত। মনখারাপ ছিল ওর। আমাকে বলত না। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম…।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সবে সিদ্ধান্ত করেছিলাম ওঁর (দিলীপ) সঙ্গে কথা বলব। উনি ব্যস্ত ছিলেন। আমি এটাই বলতাম যে, ‘দেখো, ছেলেকে আমার কাছে নিয়ে আসব। না-হলে আমি ছেলের কাছে গিয়ে থাকব।’ কথাবার্তা হচ্ছিলও। উনি বলেছিলেন, ‘ওকে একটু অভ্যস্ত হতে দাও। ও যদি বাইরে চাকরি করত, তখন তো বাইরে থাকতে হত।’ তবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ছেলের ঠিক যত্ন হচ্ছে না। মনটা ওর ঠিকঠাক ছিল না। আমি মা তো!’’ মঙ্গলবার দিলীপ বলেছেন, “পুত্রসুখ হল না, পুত্রশোক হল…”

তবে এর মধ্যে আরও একটি বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শোকার্ত দিলীপ বলেন, “ড্রাগের সমস্যা ওর আগে থেকেই ছিল। ওর কাউন্সেলিং চলছিল। ওর অফিসের ডাক্তার দেখত।” তবে এও সংযোজন করেছেন, “হঠাৎ করে কেন হল, কী হল, তা ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারব।”

প্রীতমের মৃত্যু অনেক ‘বড় শিক্ষা’ দিয়ে গেল! দিলীপ নিজেই স্বীকার করলেন সেই কথা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours