উত্তরবঙ্গের আট জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যা প্রেক্ষাগৃহের প্রশাসনিক সভায় এই বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি কী কী বললেন? জানুন এক নজরে


সর্বশেষ তথ্য উপরে…

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পুরসভা ইচ্ছা মতো ট্যাক্স বাড়াচ্ছে। এটা করা যাবে না। এটা কি বাঁশের থেকে কঞ্চি বড়? দুবার ট্যাক্স নেওয়া যাবে না। কোচবিহারে SDPO চন্দনবাবু বলে কেউ আছেন? তিনি মিটিংয়ে আসেনি কেন? হেডকোয়ার্টার দেখে তাকে কাজ দাও না। তাকে কাজ করতে দাও না। নিজেরাই যদি গ্রুপ তৈরি করো কী হবে? ওঁকে দিনহাটা-শীতলকুচিতে কাজে লাগাও। হেড কোয়ার্টারে একজনকে বসিয়ে রাখবে সে শুধু চা-বিস্কুট খাবে চলে যাবে? সে কাজ চায় তুমি কাজ করতে দেবে না। পুলিশ নিজের মধ্যে গ্রুপ করে? করে না। আমরা রাজনীতির লোকজন বেশি গ্রুপ করি। আমরা তাই জেনে এসেছি। আমি জানি কোনও কোনও সংবাদপত্র এটা নিয়ে ন্যারাটিভ করবেন সেটা করবেন না। যাঁরা করছেন তাঁদের অনেক কিডন্যাপিং কেস জানি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পঞ্চায়েতের বাড়িগুলো করেন দেদার অনুমতি দিচ্ছেন। এগুলো কিন্তু ফলো করতে হবে। শহরে গাইডলাইন মেনে চললেও পঞ্চায়েত মানছে না কেন? হোটেল-বাড়ি-শপিং মল হলে আপত্তি নেই। কিন্তু সুরক্ষার কথা মাথায় রাখতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: CMOH জানেন? অনেক ওষুধ ব্যান্ড করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা এই ওষুধ ব্যবহার না করেন। গুজরাট ও ইউপি থেকে ভেজাল ওষুধ আসছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বড় বড় সাইনবোর্ড লিখুন। কুটি-কুটি করে লিখলে হবে না। অনেকেই ফর্ম ফিলাপ করতে পারেন না। তাদের সাহায্য করুন।চা বাগানের সমস্যা হচ্ছে। নেপালের চা সস্তায় চলে আসেছে। কারণ ট্যাক্স দিতে হয় না ওদের। তাহলে আমরা কেন দেব? ওরা বাজে চা ঢুকিয়ে দার্জিলিং চায়ে মেশাচ্ছে আর সব নষ্
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পাইপ ফেললে জল পৌঁছনোর দায়িত্ব কিন্তু আপনার। মাটি পরীক্ষা না করেই কেন পাইপ ফেলেন? পিএইচই ডিপার্টমেন্টকে বলব এগুলো দেখব। মালদহের প্রকল্প কেন পড়ে থাকে? এর মধ্যে বেশি হল পিএইচই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আগে পুলিশরা তিন-চারবার গিয়ে এলাকায় ঘুরত। এখন ঘোরেই না। যত বেশি পুলিশের ভ্যান ঘুরবে মানুষ জানবে এরা অ্যালার্ট আছে। বর্ডার এলাকা খুন স্পর্শকাতর । এই যে শীতলকুচি থেকে চাষিকে তুলে নিয়ে গেল। খবরটা উদয়ন জানাতেই বেল করে এনেছি। বর্ডারে BSF কাজ করছে বলে আপনারা IC-OC রা চোখ-কান বন্ধ রাখবেন এটা হয় না। পাড়ার ক্লাবগুলোকে হাতে রাখুন। যতদিন যেখানে থাকবেন কাজ ভাল করে করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি সেদিন মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলাম। দেখি ফাঁকা রুম। কাজ করছেন না। আমি শুনছি অনেক বাইরের লোক ঢুকছে। কেউ আসাম থেকে কেউ আবার ইধার-উধার থেকে… আমাদের সমর্থকদের কাছ থেকে ভোটার-আধার-প্যান নম্বর নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি পুলিশকে বলব বি অ্যালার্ট। কোনও জঙ্গি যেন আশ্রয় নিতে না পারে। তেমন যারা মানুষকে মিথ্যা কথা বলে মানুষের জিনিস হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে….মনে রাখবেন অথোরাইজ লোক ছাড়া কাউকে ডিটেল দেবেন না। ঝাড়গ্রামে এমন টিম ধরা পড়েছে। মালদহ-কোচবিহার-কলকাতা–ডায়মন্ড হারবারে ধরা পড়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রতিবছর ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক সময় নষ্ট হয়। ভোটার লিস্ট যারা করছেন তাঁরা কিন্তু সতর্ক থাকবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:ঘাস লাগান। যাতে বন্য প্রাণিদের খাবারের অভাব না হয়। অনেক সময় দেখা যায় খাবার না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বর্ষা এসে গেছে। কন্ট্রোল রুম এখন থেকে চালু করতে হবে। NDRF-কে সতর্ক থাকতে হবে। সিকিমে বর্ষা হলে ডুবব, ঝাড়খন্ডে বর্ষা হলে আমরাও ডুবব, ভূটানে বর্ষা হলেও ডুবব। রাজ্য হচ্ছে নৌকার মতো। ভূটান হঠাৎ জল ছাড়লে আলিপুরদুয়ার ভেসে যায়। বন্যা হলে আসাম ত্রাণের টাকা পায়। আমরা পায় না। বেশি কথা বলে তিক্ততা বাড়াতে চাই না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: DM-SP সকলকে বলছি নিজের এলাকায় সতর্ক থাকুন। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-কালিম্পং-জলপাইগুড়ি-কোচবিহারে-উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের চার-পাঁচটি দেশের বর্ডার আছে। তাই আপনাদের কাজ মন দিয়ে করতে হবে। নর্থ বেঙ্গলে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ইদানিং কিছু মিডিয়ার একাংশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কেউ-কেউ প্রতি মুহূর্তে ফেক নিউজ এবং উত্তেজনা ছড়ানোর খবর ছাড়ছে। অনেক সময় ভাবি যা বেরাচ্ছে সব সত্য। DM-BDO-দের অনুরোধ করছি সকলে মাথায় রাখবেন ফেক ধরবার মেশিনারি আছে। আজকের দিনে ফেক বিক্রি টাকা ইনকামের পথ হয়েছে। অনেক সময় রাজস্থানের ছবি-বাংলাদেশের ছবি বাংলার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে ডিজিটালে দেখছি হুমকি দেওয়ার খবর লিখছে। এটা লেখা উচিত ছিল না। উত্তেজনা বাড়বে। বর্ডারে অশান্তি বাড়বে। আর এতে সমস্যা বাড়বে সাধারণ মানুষের। শান্তি বজায় রাখা সকলের দায়িত্ব।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours