ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম, সাসপেন্ড কাকদ্বীপ ব্লকের  নির্বাচনী আধিকারিক 

গত ১৫ই মে ভোটার তালিকায় একাধিক ভুয়ো ভোটারের নাম তোলার অভিযোগে কাকদ্বীপ মহকুমার নির্বাচনী আধিকারিককে সাসপেন্ড করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে নির্বাচনের কাজে যুক্ত তিন অফিসারের বিরুদ্ধে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় এফআইআর দায়ের করলেন কাকদ্বীপ মহকুমা শাসক মধুসূদন মন্ডল।
সাসপেন্ড হয়েছেন  কাকদ্বীপ মহকুমার সহকারী সিস্টেম ম্যানেজার(ইলেকশন) অরুণ গড়াই। কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার করা অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা ও জেলা প্রশাসন তদন্ত করে এই কারচুপি ধরে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপের যুগ্ম বিডিও  সহকারী নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে আছেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁর লগইন আইডি ব্যবহার করে, অবৈধ ভাবে প্রায় ৩৫০ জন ভুয়ো ভোটারের নাম তুলেছেন অভিযুক্ত আধিকারিক। এমনকি যুগ্ম বিডিওর ফোন নম্বর পরিবর্তন করে নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন। ভুয়ো ভোটারের নাম তোলার অভিযোগে অভিযুক্ত আধিকারিককে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়। এ ব্যাপারে অরুণের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কারচুপির ঘটনায় নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত তিনজন সরকারি কর্মীকে শোকজ করা হয়। তাঁরা হলেন কাকদ্বীপ মহকুমার সরকারি সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়ায়, নামখানা ব্লকের সমবায় অধিকর্তা তথা নির্বাচনী অফিসার সুদীপ্ত বিশ্বাস ও নামখানা ব্লকের নির্বাচনী ক্লার্ক অভিজিৎ পাত্র। ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ মহাকুমার সহকারী সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সমগ্র বিষয় নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, যে এলাকায় তৃণমূল লোকসভায় পিছিয়ে রয়েছে সেখানে বিজেপি ভোটারদের টার্গেট করা হয়েছে। এরা মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ। তৃণমূলের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা হাত মিলিয়ে এই কারচুপি দিনের পর দিন করে যাচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩০ জন ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই বাদ দেওয়া হয়েছে। কাকদ্বীপে অস্বাভাবিক ভোটার বৃদ্ধি ও ভুয়ো ভোটারের বিষয়ে নজর রাখছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours