এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করার জন্য সংশোধনী আইনটি তৈরি করা হয়েছে। ওয়াকফ দানের সম্পত্তি। এটি অন্য কাউকে হস্তান্তর করা যায় না। একবার যেটি ওয়াকফ সম্পত্তি আওতাভুক্ত হয়। তা চিরকাল ওয়াকফই থাকে।'


জোরদার মামলা না হলে হস্তক্ষেপ নয়...', ওয়াকফ শুনানির মাঝে বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের
ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট


মামলা না হলে হস্তক্ষেপ করা যায় না। মঙ্গলবার সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে চলা শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। এদিন দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহ-র বেঞ্চে ছিল শুনানি।


সংশোধিত ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। তবে সেই শতাধিক জনস্বার্থ মামলার মধ্যে মোট তিনটি ইস্যুকে শুনানির জন্য বেছে নেয় শীর্ষ আদালত। প্রথমত, যে সব সম্পত্তি আদালত ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করেছে, সেগুলি আর ওয়াকফ সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, যে সকল ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে, সেখানে জেলাশাসক নিজের কার্যপ্রক্রিয়া চালাতে পারলেও, তার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তৃতীয়ত, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম বা কোনও হিন্দু সদস্য থাকবে।

মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা একটা সাংবিধানিক বিষয়। আদালত সাধারণ ভাবে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। যতক্ষণ না নির্দিষ্ট কোনও মামলা হচ্ছে।’ এদিন গোটা শুনানি পর্বে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও প্রধান বিচারপতির মধ্য়ে একটা তর্ক-বিতর্ক দেখা যায়। সিব্বলের দাবি, সংশোধনী ওয়াকফ আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ২৫ ও ২৬-কে লঙ্ঘন করছে।


তাঁর কথায়, ‘এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করার জন্য সংশোধনী আইনটি তৈরি করা হয়েছে। ওয়াকফ দানের সম্পত্তি। এটি অন্য কাউকে হস্তান্তর করা যায় না। একবার যেটি ওয়াকফ সম্পত্তি আওতাভুক্ত হয়। তা চিরকাল ওয়াকফই থাকে।’

সিব্বলের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই বলেন, ‘এমনটাই তো হয়। আমি মন্দিরের ক্ষেত্রেও দেখেছি। আমি দরগায় যাই। সেখানেও এইটাই হয়।’ এরপর বিচারপতির আরও দাবি, ‘যতক্ষণ না কোনও নির্দিষ্ট ও জোরদার মামলা হচ্ছে। ততক্ষণ আদালত এতে ঢুকতে পারবে না।’

শুনানি এখনও চলছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours