১৪ মে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হন পূর্ণম। আটারি ওয়াগা বর্ডার দিয়ে দেশে ফেরানো হয় তাঁকে। তারপর থেকেই পরিবারে উচ্ছ্বাস। মোদীকে বিশেষ ধন্যবাদও জানান পূর্ণমের স্ত্রী। যদিও পূর্ণমকে সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়নি।


ঘর কব আয়োগে...স্ত্রীর উৎকণ্ঠা আজ শেষ, পাকিস্তানে ২২ দিন কাটিয়ে আজ বাংলায় পূর্ণম
কী বলছেন পূর্ণমের স্ত্রী?

 


রিষড়া: অপহরণের ঠিক একমাসের মাথায় বাড়ি ফিরছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। সকাল থেকেই বাড়িতে আজ খুশির মেজাজ। বাড়িতে রাম আসছেন, বলছেন স্ত্রী। বাড়িতে রান্না হচ্ছে পূর্ণমের পছন্দের লুচি, দুরকম তরকারি। মিষ্টি দই পছন্দ। সেই আয়োজনও হয়েছে। বিকালে এলাকায় হবে আনন্দ মিছিল। আয়োজনে পুরসভার চেয়ারম্যান। খুশির হাওয়া গোটা এলাকাতেই। 

প্রসঙ্গত, সংঘাতের আবহেই সীমান্ত টহল দেওয়ার ভুল করে পাক মাটিতে পা দেওয়ায় পূর্ণমকে আটক করেছিল পাক রেঞ্জার্সরা। তারপর বারবার ফ্ল্যাগ মিটিং করেও কোনও সুরাহা হয়নি। গায়ের জোরে বিএসএফ জওয়ানকে আটকে রাখে পাকিস্তান। তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছিল গোটা দেশেই। পূর্ণমকে ঘরে ফেরাতে জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছিলেন পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউয়ের সঙ্গে। 


১৪ মে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হন পূর্ণম। আটারি ওয়াগা বর্ডার দিয়ে দেশে ফেরানো হয় তাঁকে। তারপর থেকেই পরিবারে উচ্ছ্বাস। মোদীকে বিশেষ ধন্যবাদও জানান পূর্ণমের স্ত্রী। যদিও পূর্ণমকে সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়নি। কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। অবশেষে এক মাস পর আজ রিষড়ার বাড়িতে ফিরছেন। হাসিমুখেই স্ত্রী বলছেন, “এতদিন পর বাড়ি ফিরছে। খুব ভাল লাগছে। কিন্তু, ওর কাছে ফোন না থাকায় কথা বলতে পারিনি। আজ বাড়ি ফিরলে ওর জন্য ওর প্রিয় লুচি তরকারি এবং দই, মিষ্টি আয়োজন হচ্ছে।কেক কাটা হবে।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours