শনিবার বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা একটি বিশেষ কর্মসূচি নেয়। যার পোশাকি নাম 'উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালা', সেই 'পাঠশালা'য় ছাত্রছাত্রীরা হিসাবে উপস্থিত ছিল কচিকাচারা, যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১০-১২র মধ্যে। চাকরিহারাদের বক্তব্য, যেহেতু তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারছেন না, তাই তাঁরা আন্দোলনমঞ্চে যারা এসেছে, তাদের পাঠ দেবে।
শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের নজরে এবার চাকরিহারারা! কোথায় 'গলদ' চাকরিহারাদের?
শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের নজরে এবার চাকরিহারারা। বিকাশভবনের সামনে শনিবারের বিক্ষোভে ‘উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালা’ নামক কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রী হিসাবে শিশুরা হাজির ছিলেন। আর এই পদক্ষেপ কমিশনের মতে UNCRC-র বিরোধী। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট চাইল শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা একটি বিশেষ কর্মসূচি নেয়। যার পোশাকি নাম ‘উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালা’, সেই ‘পাঠশালা’য় ছাত্রছাত্রীরা হিসাবে উপস্থিত ছিল কচিকাচারা, যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১০-১২র মধ্যে। চাকরিহারাদের বক্তব্য, যেহেতু তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারছেন না, তাই তাঁরা আন্দোলনমঞ্চে যারা এসেছে, তাদের পাঠ দেবে।
কমিশনের বক্তব্য, যেখানে একটি বিষয়ের ওপর আন্দোলন চলছে, যেখানে ওই আন্দোলনেরই একটি কর্মসূচি এই ‘পাঠশালা’, সেখানে শিশুদের কেন অংশগ্রহণ? শিশুরা কোনওভাবেই কোনও আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। জানতে চাওয়া হবে, যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের বয়সসীমা, তারা কীভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিল ও কাদের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন, উঠছে, চাকরিহারা যাঁরা দিনভর আন্দোলনে সামিল, তাঁদের মধ্যেও অনেকে অভিভাবক, তাঁদের সন্তানরাও মাঝেমধ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। আবার যে শিশু টিভি পর্দায় দেখছে, তাদেরই শিক্ষক নিগৃহীত হচ্ছে রাস্তায়, তারাও গিয়েছে দেখা করতে, তাদেরও তো সেক্ষেত্রে শিশু মনে প্রভাবই পড়ছে। সেক্ষেত্রে কমিশনের কী বক্তব্য, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours