এ দিন কমিশন থেকে বেরনোর পর সুকান্ত বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সিইও অফিস রয়েছে। সেটা তৃণমূলের দ্বিতীয় অফিস। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পকেটের অফিসার আছে। এই অফিসের অধস্তনে কাজ করে বিডিও, এসডিও। এছাড়াও সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কাজ করেন।
ভুয়ো ভোটার নিয়ে কমিশনে BJP-TMC, বেরিয়ে কী বললেন সুকান্ত-কল্যাণরা?
কী বললেন সুকান্ত ও কল্যাণরা?
দিল্লি: ভুয়ো ভোটার নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে পৌঁছেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। গিয়েছে তৃণমূলও। বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্য,জগন্নাথ সরকার,জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, খগেন মুর্মু,অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়,জয়ন্ত রায়, মনোজ টিজ্ঞা,কার্তিক পালরা। অপরদিকে, কমিশনে যেতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েনরা।
এ দিন কমিশন থেকে বেরনোর পর সুকান্ত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিইও অফিস রয়েছে। সেটা তৃণমূলের দ্বিতীয় অফিস। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পকেটের অফিসার আছে। এই অফিসের অধস্তনে কাজ করে বিডিও, এসডিও। এছাড়াও সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কাজ করেন। তাঁরা ডুপ্লিকেট নাম ঢুকিয়েছে। শুধু তাই নয়, এপিক নিয়েও যে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী তাও আমরা কমিশনকে জানিয়েছি। আমাদের রাজ্যে ৭ হাজার ২৩৫ ভোটার কার্ড আছে। তাদের এপিক নম্বর এক। ব্যক্তি আলাদা। যদিও এটা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন। তবে যে এপিক নম্বর যে বুথে অ্যাসাইন, তার বাইরে কেউ ভোট দিতে পারবে না। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ১৩ লক্ষ ডবল এন্ট্রি রয়েছে।”
সব শেষে সুকান্ত বলেন, “নির্বাচনের সময় বাংলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়। অন্যান্য রাজ্যে যেভাবে ভোটার লিস্ট সংশোধিত হওয়া সম্ভব। সেটা বাংলায় সম্ভব হচ্ছে না। সেই জন্য আমরা চেয়েছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের লোক পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস এই ব্যাপারে। নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে এই ভুয়ো লোকজন বাদ যায়।”
অপরদিকে, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। সঙ্গে আরও দু’জন কমিশনার ছিলেন। একই নম্বরের এপিক কার্ডের বিষয় মুখ্যমন্ত্রী তুলেছিলেন, আমরা সেটাই তুলেছি। পশ্চিমবঙ্গের এপিক কার্ডের নম্বরে হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তর প্রদেশে আছে। এও দেখা গেছে একই এপিক কার্জ বিভিন্ন জেলায় আছে। বারবার বলছে যে একটা নম্বরের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের দু তিনটে এপিক নম্বর থাকতেই পারে না। এটা অবৈধ।
কল্যাণ আরও বলেন, “কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে কমিশনের সততা। মানুষের আত্মবিশ্বাস ভোটার কার্ড। সেই আত্মবিশ্বাস কতটা ভাঙল, আর ভোটার কার্ডই যদি নষ্ট হয় তাহলে নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ হল সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কমিশন আজ এর কোনও নির্দিষ্ট উত্তর দেয়নি। কমিশন বলেছে, ৩০ এপ্রিলে সময়সীমা বাড়াতে পারি। কত সংখ্যক ডুপ্লিকেট এপিকেট আছে তা প্রথম নির্দিষ্ট করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বলছে, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতাম। এটা আমরা জানি। কিন্তু কমিশনকে তো কাজ করতে হবে।” তিনি এও বলেন, “কমিশনের বক্তব্য আমি সন্তুষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গের যে জায়গায় একই এপিক নম্বরের কার্ড রয়েছে তিনটি জেলাতে আছে। অদ্ভুতভাবে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যের সঙ্গে এপিক কার্ড নম্বর মিলছে। জেলাগুলিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এমপি রয়েছে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours