বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই ২৩টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রস্তাব এসেছে। তালিকায় রয়েছে বেলভিউ, ভাগীরথী নেওটিয়া, নারায়ণা, পিয়ারলেস, সিএম‌আর‌আই, অ্যাপেলো, উডল্যান্ডস, চার্নক, মণিপাল গ্রুপ।

এগিয়ে এল অ্যাপেলো, বেলভিউ, চার্নক, উডল্যান্ডসরা! বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন


 বিশ্ব বাংলা কনভেনশন হলে চলছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। প্রথম দিনই অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের তরফে হর্ষবর্ধন নেওটিয়া রাজ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। জানালেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই ২৩টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রস্তাব এসেছে। তালিকায় রয়েছে বেলভিউ, ভাগীরথী নেওটিয়া, নারায়ণা, পিয়ারলেস, সিএম‌আর‌আই, অ্যাপেলো, উডল্যান্ডস, চার্নক, মণিপাল গ্রুপ।

এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আগে স্বাস্থ্যের অবস্থা যা ছিল, আর মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখন যেখানে এসে পৌঁছেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না, যে মানুষের প্রাপ্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সবসময় উদ্যোগ নেয়। বড় বড় হাসপাতালে বড় কোম্পানি হেলথ কেয়ারে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওপর এখানে হেলথ সেক্টরে বিনিয়োগ হবে। আমরা মনে করি, এটা সরকারেরই অংশ। পাবলিক সেক্টর কখনও সম্পূর্ণ হয় না, যদি না প্রাইভেট সেক্টর এসে হাত মেলায়।”


কে কী ধরনের বিনিয়োগ করছে, তার একটি প্রাথমিক রূপরেখা পাওয়া গিয়েছে।

উডল্যান্ডস: নতুন ১০ তলা বিল্ডিং। ১৫০ থেকে ৩৭০ শয্যার হাসপাতাল হচ্ছে উডল্যান্ডস। স্টেট অব দ্য আর্ট ক্যান্সার সেন্টারের পাশাপাশি লিভার, ফুসফুস প্রতিস্থাপনে চিকিৎসা পরিকাঠামো হবে।

আগামী বছর পয়লা বৈশাখে নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল করবে পিয়ারলেস। বারাসতে হবে নতুন হাসপাতাল।

মুকুন্দপুরে আর‌ও ১৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব এসেছে। পাশাপাশি নিউটাউনে ১০০১ শয্যার হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে নারায়ণা।

সিএম‌আর‌আই-এর তরফে প্রস্তাব এসেছে নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল, অত্যাধুনিক ওটি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার সম্প্রসারণ, নার্সিং কলেজ।

দিশার ৭০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব এসেছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে চলতি বছরেই একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, কেবলমাত্র রাজ্যই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, মমতার জমানায় গত ১২ বছরে রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ১১ থেকে বেড়ে ৩৫টি হয়েছে। এমবিবিএস-এ আসন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩০০। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ায় এখন তা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসায় আগামী দিনে আরও পরিসর বিস্তৃত হচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “প্রথম দিনেই বোঝা গিয়েছে, এখানে যাঁরা বিনিয়োগ করেন, অর্থাৎ শিল্পোদ্যোগীরা, তাঁরা শিল্পের জন্য সমস্ত রকমের সুবিধা পান। তাই বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী। হেলফ সেক্টরে যে একটা আমূল পরিবর্তন এসেছে, এ বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours