রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার পর ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে সরব হলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৯৪টি স্কিম আছে আমাদের: মমতা
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শুরুতেই এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবি তুলে সরব হলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য ২৮ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। কোন কোন স্কিমে কত মানুষ সুবিধা পেয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৯৪টি স্কিম আছে আমাদের।’
কী কী বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, একনজরে
আমরা কথা দিলে কথা রাখি। আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় রাজ্যের। আমাদের থেকে টুকলি করে অনেক রাজ্য এটা চালু করেছে। আবার কেউ কেউ বন্ধও করে দিয়েছে। অনেকে অনেক শর্ত রাখে। আমাদের লক্ষীর ভাণ্ডার ইউনিভার্সাল। ১২ কোটি মহিলা পায়। দুয়ারে সরকারে আরও কয়েক লক্ষ মেয়ে যুক্ত হয়েছে।
প্রায় ৯ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পায়। ৮০ হাজার পড়ুয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পেয়েছে।
৩০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ পান বার্ধক্য ভাতা। বিধবা ভাতা পেয়েছেন ২০ লক্ষের বেশি মহিলা।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ৫২ লক্ষের বেশি স্মার্টফোন দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা বই, পোশাক দিই বিনামূল্যে। ১৮ কোটি পড়ুয়া এতে উপকৃত হয়।
৬৮,০০০ মানুষকে কৃষি পেনশন দেওয়া হচ্ছে।
১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ চাকরি করছে এমএসএমই-তে।
বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তোলে। সেই প্রসঙ্গে এদিন মমতা জানান, এবারের সম্মেলন বাদ দিয়ে আজ পর্যন্ত যতগুলো সম্মেলন হয়েছে, তাতে রাজ্য মোট ১৯ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে। তার মধ্যে ১৩ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট শেষ হয়ে গিয়েছে।
রূপশ্রী প্রকল্পের বাইরে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার শ্রমিকের পরিবার বিয়ের জন্য টাকা পেয়েছে।
অনুর্বর জমি আমরা উর্বর করেছি। রাজ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপন্ন হচ্ছে।
ক্ষমতায় আসার পর ইলিশ মাছের রিসার্চ সেন্টার তৈরি করেছিলাম। তারপর থেকে আর ওপারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় না।
১ লক্ষ ছেলেমেয়ে কাজ পাবে দেউচা পচামিতে। ওখান থেকে কয়লা পেলে বিদ্যুতের দাম অনেক কমে যাবে।
ছ’টা ফ্রেট করিডর গোটা বাংলাকে কভার করবে। রাস্তার দুই পাশে শিল্প হবে। আমাদের লোকেরা অন্য জায়গায় কাজ করতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা এখানে কারও স্কিলকে ছোট করি না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours