খাওয়া দাওয়ার পর হাতে হাতে মিলল উপহারও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, এতে কোনও নিয়ম ভাঙা হয়নি, এটা করাই যায়।


 সরকারি টাকায় কব্জি ডুবিয়ে খাসির মাংস-দই-চাটনি, শীতের দুপুরে তৃণমূল নেতাদের ভূরিভোজ
এই সেই পিকনিকের খাবার


শীতের দুপুরে জমিয়ে চলল পিকনিক। পাতে পড়ল ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, দই মিষ্টি। পিকনিকে খেলেন তৃণমূল নেতা, তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, এমনকী অনুগামীরাও। বাদ গেলেন না কেউ। এটা নাকি সরকারি নিয়ম মেনেই হয়েছে, বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।


মালদহের ঘটনা। মানিকচকে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ছিল বৃহস্পতিবার। আর সেই বাজেটের নামে একরকম পিকনিক সারলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। মানিকচকের বিডিও অফিসে রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে চলল মহাভোজ। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে রীতিমতো ক্ষেপে ওঠেন তিনি। তবে স্বীকার করে নেন যে সব খরচ সরকারি টাকাতেই হচ্ছে। অন্যান্য তৃণমূল সদস্যরাও সে কথা স্বীকার করেন।

শীতের দুপুরে সবাই মিলেই চেয়েছিলেন এরকম একটা জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হোক, তাই এই ব্যবস্থা। ভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সব সদস্য ও তাদের পরিবার। শাসক দলের ছোট-বড় নেতা থেকে শুরু করে তাঁদের অনুগামীরা, বাদ ছিল না কেউই। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জনের পেটপুরে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে খেয়েদেয়েই শেষ নয়। খাবারের পাশাপাশি উপহার হিসেবে ছিল নতুন বছরের ডায়েরি এবং পেন। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে সরকারের টাকা খরচ করে এভাবে খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours