জানা যাচ্ছে, মৃত ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার হরিপুর গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম বাবু শেখ। সেও হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাবু পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সে কেরলে কাজ করে। দিন কয়েক আগেই হরিপুরে ফিরেছিল অভিযুক্ত।
চলন্ত বাসের মধ্যেই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর গলায় একের পর এক কোপ, পরে ঝাঁপ দিয়ে চম্পট দিল যুবক
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে খুন
হাড়হিম ঘটনার পূর্ব বর্ধমানে কেতুগ্রামে। চলন্ত বাসের মধ্যে নাবালিকাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ যুবকের। কোপানোর পরই চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে ঝাঁপ অভিযুক্তের। তারপরই বেপাত্তা অভিযুক্ত। খুল্লামখুল্লা স্কুল ছাত্রীর খুনের ঘটনায় কার্যত শিউরে উঠছেন সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা যাচ্ছে, মৃত ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার হরিপুর গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম বাবু শেখ। সেও হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাবু পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সে কেরলে কাজ করে। দিন কয়েক আগেই হরিপুরে ফিরেছিল অভিযুক্ত। পরিবারের দাবি, নাবালিকা ছাত্রীকে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করছিল ছেলেটি। নাবালিকা ছাত্রী গুরুত্ব না দেওয়ায় তাকে খুন করেছে অভিযুক্ত।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে ওই ছাত্রী আড়না গ্রামে তার মাসির বাড়ি বেড়াতে আসে। এরপর মঙ্গলবার নিজের কিছু কাজের জন্য কাঁদরা ব্লক অফিসে যায়। কাজ শেষ করে ফের আড়না গ্রামে ফেরার জন্য বাস ধরে তারা। বাসের মধ্যে জানলার ধারে বসেছিল ওই ছাত্রী। তার পাশে বসেছিলেন মেয়েটির মাসি। আচমকাই অভিযুক্ত যুবক হামলা চালায় মেয়েটির উপর ক্ষুর দিয়ে তার গলায় একের পর এক আঘাত করতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। মৃত্যু হয় তার। মৃতার মাসি বলেন, “”রেলগেট পার হতেই ও দৌড়ে বাসে উঠে ছুরি চালিয়ে দিল। আমরা চিৎকার করতে করতেই ও ছুটে বেরিয়ে পালিয়ে গেল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours